স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর উপজেলার গঙ্গাধর নদে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে মিঠাপানির সুস্বাদু বিপন্ন প্রজাতির মহাশোল মাছ। জেলার কচাকাটা ইউনিয়নের শৌলমারী এলাকায় এই মাছটি ধরা পড়ে। স্থানীয়ভাবে এ মাছটি ঘড়েয়া মাছ নামে পরিচিত।
মহাশোল মাছ ধরা স্থানীয় জেলে নির্মল শীল বলেন, আজ গঙ্গাধর নদী থেকে এই মাছটি ধরেছি। ঘড়েয়া বা মহাশোল মাছটি বছরে ১ থেকে ২ মাস শুধুমাত্র গঙ্গাধর নদীতে পাওয়া যায়। শৌলমারী এলাকার গভীরতা কম থাকায় এখানেই এ মাছটি জালে ধরা পড়ে। সুতোয় বোনা একপ্রকার টানা জাল ফেলে এ মাছ ধরা হয়েছে।
একই এলাকার বাসিন্দা মজিবর বলেন, এই মাছ প্রতিবছর এই এলাকাটিতে ধরা পড়ে। এখান থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ এবং প্রিয় ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে পাঠায় অনেকেই। চাহিদা, দাম এবং স্বাদে এ মাছটি পেয়েছে রাজকীয় পরিচিতি।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ী খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ১৫ মিটার গভীরতায় এ মাছটি বিচরণ করে থাকে। কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাসের পুরো সময়টা খরস্রোতা নদী গঙ্গাধরে অবস্থান করে এ মাছটি। দুই প্রজাতির এ মাছের একটির গায়ের রঙ কালচে আরেকটি হলদেটে। এ মাছটির প্রধান খাদ্য পাথরের ফাঁকে জন্মানো পেরিফাইটান শৈবাল। একসময় নেত্রকোনার কংস নদ ও সোমেশ্বরী নদীতে এই দুই প্রজাতির মহাশোল মাছ পাওয়া গেলেও নদীর উৎসমুখ বন্ধ হওয়ায় এখন তা বিলুপ্ত।
আরও পড়ুন: গণধর্ষণের অভিযোগে মামলার ৮ মাস পরে কিশোরীর সন্তান প্রসব
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন বলেন, মহাবিপন্ন তালিকায় রয়েছে মহাশোল মাছটি। মহাশোল মাছটি খরস্রোতা নদীর মাছ। গঙ্গাধর একটি খরস্রোতা নদী। ফলে এ নদে এ মাছটি পাওয়া যায়। তবে পরিমাণে কম। মহাবিপন্ন এই মাছ যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আমরা পরিকল্পনা করছি।
Leave a reply