বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে ওরা

|

শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর ছবি নিয়ে সহধর্মিনী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।

নাজমুল হোসেন:

পরাজয় নিশ্চিত জেনে ঘাতক পাকিস্তানিদের টার্গেটই ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা। এ কারণে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বেছে বেছে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তারা। এই নৃশংস কাজে তাদের সহযোগিতা করে এদেশীয় আলবদর বাহিনী। বিজয়ের ৫০ বছর পরেও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করার দাবি শহিদ স্বজনদের।

একাত্তরের ১৮ই ডিসেম্বর রায়েরবাজার পরিত্যক্ত ইটভাটায় পাওয়া যায় বাংলাদেশের সূর্যসন্তানদের সারি সারি লাশ, বিজয়ের আগ মুহূর্তে যাদের হত্যা করে ফেলে রাখা হয় বধ্যভূমিতে। এই লাশের মিছিলে ছিলেন খ্যাতনামা অনেক চিকিৎসক। যাদের মধ্যে ছিলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলীম চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা। হত্যার আগে তাদেরকে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন।

শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর সহধর্মিনী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী জানালেন, একাত্তরের ১৫ই ডিসেম্বর ছাত্ররাই বন্দুকের মুখে তুলে নিয়ে যায় ডা. আলীমকে। পরে তার লাশ পাওয়া যায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। ক্ষোভের কথা জানালেন নাসরিন চৌধুরী। বললেন, আজও সেই অশুভ শক্তি সক্রিয়। তারা এখনও চায়, দেশে সাম্প্রদায়িকতা বিরাজমান থাকুক, বিশৃঙ্খলা থাকুক। এখন স্বাধীনতার পক্ষ আর বিপক্ষে আলাদা আলাদা শক্তি তৈরি হয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এই শহিদপত্নী।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ থাকায় বদর কমান্ডার চৌধুরী মাইনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানকে ২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু লন্ডনে পলাতক তারা দুজনেই। শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোর্তজার কন্যা দ্যুতি অরণী বললেন, গণহত্যার সহযোগী সেই রাজাকারদের ধরে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন : শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

প্রিয়জনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তাদের প্রত্যাশা, ভালো থাকুক বাংলাদেশ।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply