সংক্রমণ বাড়ায় ফিকে হচ্ছে জার্মানির ক্রিসমাস

|

করোনার নতুন ঢেউয়ে ক্রিসমাস আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। সংক্রমণ বাড়ায় ফিকে হচ্ছে উৎসবের আমেজ। সেই ধাক্কা লাগলো জার্মানির মোয়ের্স শহরের ঐতিহ্যবাহী মোয়ের্স ক্রিসমাস হাউসে। বর্ণিল সাজসজ্জার জন্য জনপ্রিয় আবাসস্থলে কমেছে রোশনাই। দেড় লাখের বদলে মাত্র ৪০ হাজার বাতিতে সেজেছে গোটা বাড়িটি।

চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা-বাহারি সাজ, সবকিছুর মূলেই ক্রিসমাস। উৎসবের এই সাজসজ্জার জন্য জার্মানির বাড়িটি পরিচিতি পেয়েছে মোয়ের্স ক্রিসমাস হাউস নামে। আলোর আতিশয্য সবার নজর কাড়লেও, অন্যান্যবারের তুলনায় সাজসজ্জা অর্ধেকেরও কম। করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের ধাক্কা আঘাত হেনেছে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে। অর্থ বাঁচাতে, সব আয়োজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন বাড়ির মালিক লিওন স্কিপারস। তবুও, এবার ১ লাখ ৩০ হাজার লাইট দিয়ে প্রাঙ্গনটা সাজিয়েছেন তিনি। যদিও বাড়ির পেছন দিকটা এবার অন্ধকারই থাকছে।

২০ বছর আগে ক্রিসমাস উপলক্ষে জমকালো উপায়ে বাড়ি সাজানো শুরু করেন লিওনের বাবা। দুই দশক পেরিয়ে গেলেও সন্তান ধরে রেখেছেন ঐতিহ্য। সাজসজ্জার পাশাপাশি যুক্ত করেন খাবার, পানশালা, খেলাসহ নানা আয়োজন। তবুও ২৩ ফুট লম্বা ক্রিসমাস ট্রি ঘিরেছেন ১০ হাজার লাইটে।

বাড়ির মালিক লিওন স্কিপারস জানান, ক্রিসমাস উপলক্ষে বাড়িতে প্রতিদিন থাকতো পানশালার ব্যবস্থা। কিন্তু এ বছর সপ্তাহে একদিন পাঁচটা থেকে ৮টা পর্যন্ত বার খোলা রাখছি। তারপরও দর্শণার্থীরা সেভাবে আসছেন না।

করোনাকাল কাটিয়ে, শিগগিরই অতীত রূপে ফিরে যাওয়ার আশাবাদ লিওনের। প্রত্যাশা, সামনের বার মোয়ের্স ক্রিসমাস হাউস নিজ ঐতিহ্য ফিরে পাবে। ক্রিসমাস এবং বর্ষবরণের শুভেচ্ছার পাশাপাশি সবার প্রতিই বাড়িটি ঘুরতে আসার বিনীত অনুরোধও জানান তিনি।

আরও পড়ুন : করোনার কারণে চরম দারিদ্র্যে ৫০ কোটি মানুষ

প্রতিবছর বড়দিনের সাজসজ্জা শেষ করতে সেপ্টেম্বর মাস থেকে কাজ শুরু করেন লিওন। এবার অনেকটা আগেই অবসর যাপন করছেন তিনি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply