বিজয়ের পঞ্চাশেও সম্মুখযুদ্ধে শহিদ আশরাফের সনদ হয়নি

|

পুলিশ সদস্য আশরাফ আলী স্বাধীন দেশের জন্য সরকারি চাকরি, পরিবার, জীবন সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনে। সম্মুখ সমরে শহিদ হন তিনি। পরে তার লাশটিও পরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই বীর শহিদ পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে পত্র পাঠিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বিশেষ গেজেটে রয়েছে তার নাম। কিন্তু ৫০ বছরেও এই বীর শহিদের নামে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট হয়নি। পুলিশ সদস্য আশরাফ আলীর পরিবার শহিদ পিতার অধিকার নিশ্চিতে পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন।

জমকালো আয়োজনে উদযাপন হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বিজয়ের পঞ্চাশ। আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। তবে সেই আনন্দ ছুঁতে পারেনি আশরাফ আলীর পরিবারকে। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন আশরাফ আলী। দেশ মাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন তিনি। এই বীর সেনানীর আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গেজেটে নাম ওঠে আশরাফের। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা শীর্ষক বইয়ে স্মরণ করা হয়েছে তার অবদান। কিন্তু সময় পেরিয়ে মলিন হয়েছে সেই স্মৃতি। আশরাফ আলীকে ভুলতে বসেছে সবাই।

রক্তের বিনিময়ে এনেছিলেন স্বাধীন দেশের পতাকা। সেই দেশে রেখে গেছেন স্ত্রী ও ৯ সন্তান। সেই স্বজনরা রনাঙ্গনে শহিদ আশরাফের কবরটাও খুঁজে পাননি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply