কিছুদিন আগেও দেশের চাহিদা মিটিয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি হতো চিটাগুড়। বর্তমানের চিত্রটি পুরোটাই উল্টো। এখন এই বন্দর দিয়েই ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হচ্ছে । সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একের পর এক সরকারি চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিটাগুড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে বন্দর দিয়ে বাড়ছে চিটা গুড়ের আমদানি।
এসব চিটাগুড় সরবরাহ হচ্ছে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফিড মিল ও গো-খামারিদের কাছে।
গো-খাদ্যের পাশাপাশি গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী ও মাছের খাদ্য তৈরীতে ব্যবহার হয়ে থাকে চিটাগুড়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ১৪টি সুগার মিলের মধ্যে ৬টিই বন্ধ। ফলে ফিড মিল ও খামারিরা চাহিদামাফিক চিটাগুড় না পাওয়ায় ভারত থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানালেন, গত এক মাসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেড় হাজার টন চিটাগুড় ভারতে থেকে আমদানি হয়েছে। এ থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
সড়ক পথের পাশাপশি রেলপথেও হিলিতে চিটাগুড় আমদানি হচ্ছে। বন্ধ হওয়া সরকারি চিনি কলগুলো, পুনরায় চালু করা গেলে চিটাগুড় আমাদানি নির্ভরতা কমে আসবে বলে মনে করনে সংশ্লিষ্টরা।
তবে মোটাদাগে দেশে আমদানি বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় রফতানির পরিমাণ কমেছ। অন্যদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও চলছে ধারাবাহিক পতন। এর ফলে চাপের মুখে পড়েছে বিদেশের সঙ্গে লেনদেনের ভারসাম্য। চলতি হিসাবের পাশাপাশি ঘাটতি তৈরি হয়েছে সামগ্রিক লেনদেনের ভারসাম্যে। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
/এডব্লিউ
Leave a reply