ইতিহাসের অন্যতম প্রলয়ঙ্কারী টাইফুনের প্রভাবে ফিলিপাইনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৮৮ জন। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির সরকার বলছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে আরও। খবর এনডিটিভির।
এর আগে গত ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ ও মধ্য ফিলিপিনে আঘাত হানে টাইফুন রাই। এর প্রভাবে সৃষ্টি হয় ভয়ানক বন্যা, গৃহহীন হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ।
সোমবার দেশটির সিভিল ডিফেন্স অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টাইফুন রাইয়ের প্রভাবে ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮৮ জন। এখনও ৬০ জন নিখোঁজ আছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।
আরও পড়ুন: ‘৪০০ কেজি পৈতৃক সোনা বিক্রি করে ২৯৩ কোটি টাকা পেয়েছি’
সিভিল ডিফেন্স অফিসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত চার লাখ মানুষকে টাইফুনের পর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ৪ লাখ ৮২ হাজার বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। এখনও তিন লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, ২ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের সব হারিয়ে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
টাইফুনের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সব এলাকায় খাদ্য, সুপেয় পানি বা বস্ত্র পৌঁছে দিতে পারছে না সরকার। ফলে গত কয়েকদিনেই বিভিন্ন অঞ্চলে ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ভয়াবহতার দিক বিবেচনা করে টাইফুন রাইকে অনেকেই তুলনা করছেন টাইফুন হাইয়ানের সাথে। ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে আঘাত হানা টাইফুন হাইয়াতকে বলা হয় দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলঙ্কারী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এর প্রভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন মোট ৭ হাজার ৩০০ জন।
এসজেড/
Leave a reply