নারায়ণগঞ্জ দুর্ঘটনা: লাইনের পাশে দোকান কীভাবে এলো?

|

নারায়ণগঞ্জে ট্রেন-বাস সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় আবারও আলোচনায় শহরের এক নম্বর রেলগেট এলাকায় সড়কে বিশৃঙ্খলা। রাস্তার দুপাশ দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট ছোট দোকান। এছাড়া ভ্যানগাড়িতে করে পণ্য বিক্রি করায় সংকুচিত হয়ে পড়ছে সড়ক। ফলে রেলগেট এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশকে চাঁদা দিয়ে এসব অবৈধ দোকানপাট বসছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নম্বর রেলগেট এলাকার খুব কাছেই বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মনাল, রেলস্টেশন, বাজার। ব্যস্ত এই জনপদের কেন্দ্রে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্টেশনের পাশ ঘেঁষে শীতলক্ষ্যা মাছের বাজার। সবমিলে হাজারও মানুষের যাতায়াত মাত্র আধা বর্গ কিলোমিটার এলাকায়।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কের কালিরবাজার থেকে এক নম্বর রেলগেট এবং দুই নম্বর রেলগেট থেকে এক নম্বর রেলগেট পর্যন্ত সড়কের দুপাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট দোকান। এছাড়া রাস্তা দখল করে ভ্যানগাড়িতে পণ্য বেচাকেনা তো রয়েছেই। ফলে রেলগেট এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। অফিস টাইম শুরু ও শেষের সময় যানজটের মাত্রা হয়ে ওঠে অসহনীয়।

রোববার এক নম্বর রেলগেট এলাকায় ট্রেন-বাস সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর আবারও আলোচনায় এই সড়কের বিশৃঙ্খলা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে যানজটের কারণেই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলওয়ের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের চাঁদা দিয়ে চলছে অবৈধ কারবার।

এই রেলক্রসিংয়ে এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা দেখেছে এলাকাবাসী। দুর্ঘটনার জন্য দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকেও দুষছেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক ভুইয়া দীপু।

তবে স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম বলছেন, এক নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইন বাঁকা হওয়ায় আগত ট্রেন দূর থেকে দেখা যায় না। ডাবল লাইনের কাজ শেষ হলে দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করছেন তিনি। বলছেন কর্মকর্তারা।

রোববার সন্ধ্যায় এক নম্বর রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-বাস সংঘর্ষে প্রাণ যায় ৪ জনের। এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply