কোনো মুভির নামের শেষে ‘২’ থাকলে শঙ্কা থেকেই যায়, এটি বোধহয় দ্বিগুণ খারাপ হতে যাচ্ছে! তবে গডফাদার ২ এর মতো সিনেমা অবশ্য ব্যতিক্রমের তালিকাতেই থাকবে। তবে ব্যতিক্রম যেহেতু হতে পারে না উদাহরণ, তাই বেশিরভাগ সিক্যুয়েল মুভি নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও খুব একটা সুখকর নয়। কারণ মুভির সিক্যুয়েল সৃষ্টির পেছনে প্রধান উদ্দেশ্যই থাকে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া। সেখানে ভালো মুভি সৃষ্টির চেয়ে অরিজিনালের দর্শকপ্রিয়তা কাজে লাগানোই হয় মুখ্য।
এবার দেখে নেয়া দর্শক প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ১০টি মুভির কথা, যেগুলো দেখার পেছনে দর্শকদের মনে কেবল মাস্টারপিসের জায়গা করে নেয়া অরিজিনাল মুভিই নয়; হয়তো মাথায় এসেছিল গডফাদার ২ এর নামও।
১০। আমেরিকান সাইকো ২
প্যাট্রিক বেইটম্যান আত্মপ্রেমে মগ্ন এক উন্মাদ সিরিয়াল কিলার হলেও নিশ্চয়ই তিনি ‘আমেরিকান সাইকো ২’ এর চেয়ে ভালো সিক্যুয়েল প্রত্যাশা করতেই পারতেন! এই সিক্যুয়েলটির অস্তিত্বই অনেকের কাছে অজানা থাকাই হয়েছে ভালো। কারণ, আমেইকান সাইকোর দ্ব্যার্থক সমাপ্তিতে অনেকটাই জল ঢেলে দিয়েছে সিক্যুয়েলটি।
৯। ডার্টি ড্যান্সিং: হাভানা নাইটস
নাচের ইনস্ট্রাকটর হিসেবে প্যাট্রিক সোয়েজের ক্লাসিক ডার্টি ড্যান্সিংয়ের সকল ক্যারিশমা মুছে দিয়েছে মুভিটির সিক্যুয়েল ‘ডার্টি ড্যান্সিং: হাভানা নাইটস’।
৮। টাইটানিক ২
১৯৯৭ সালের জেমস ক্যামেরনের ধ্রুপদী চলচ্চিত্র টাইটানিক যদি আপনি পছন্দ নাও করেন, তবে দানবাকার টাইটানিক ডুবে যাওয়ার আইকনিক দৃশ্যগুলোকে ভুলে যাওয়া কিছুটা কঠিনই বটে। সেটার সাথে তুলনা করে ‘টাইটানিক ২’ এর ডিজিটাল ইফেক্টকে মোতা দাগেই শিশুতোষ বলা যায়।
৭। দ্য স্টিং ২
অরিজিনাল মুভির বছর দশেক পর ম্যাক ডেভিস ও জ্যাকি গ্লিসন করলেন পল নিউম্যান ও রবার্ট রেডফোর্টের চরিত্রে অভিনয়। তাতে যে রিমেকটি তৈরি হলো, তা যেন ভুলে যেতে চাইবেন ‘দ্য স্টিং’য়ের দর্শক ও ভক্তরা।
৬। র্যাম্বো ফার্স্ট ব্লাড: পার্ট ২
প্লট বা যুক্তির বিচারে অবনেক পিছিয়ে থাকলেও জন র্যাম্বোর কার্যকলাপ প্রথম মুভিতে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। কিন্তু ‘র্যাম্বো ফার্স্ট ব্লাড: পার্ট ২’ তে জন র্যাম্বো যেভাবে ভিয়েতনামে ঢুকে ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে আমেরিকান সৈনিকদের বাঁচানোর মিশন সফল করেছেন, তা যুক্তির ধোপেও যেমন টেকে না, তেমনি চোখের জন্যও খুব ভালো কোনো অনুভূতি তৈরি করতে পারেনি।
৫। ওয়াল স্ট্রিট: মানি নেভার স্লিপস
১৯৮৭ সালে ওয়াল স্ট্রিট মুভিটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হওয়ার পর পরিচালক অলিভার স্টোন আরও চমৎকার মুভি বানাতে পারতেন। তবে তিনি মাইকেল শিন ও শায়া লেবাফকে নিয়ে সিক্যুয়েলটি যে না বানালেই ভালো করতেন, সে ব্যাপারে সমর্থন জানানোর মতো দর্শকের অভাব কখনোই হবে না বিশ্বজুড়ে।
৪। এস. ডার্কো
ডনি ডার্কোর সিক্যুয়েলটি কাজ করেছে সময়ের ধারণাকে নিয়ে। কারণ, সময় নষ্ট করা ছাড়া জেক গিলেনল অভিনীত মুভিটি আর কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেনি। ডনি ডার্কোর পরিচালক রিচার্ড কেলি এই সিক্যুয়েলটিকে ‘ভয়ানক’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
৩। নাউ ইউ সি মি ২
নাউ ইউ সি মি’র মতো এই সিক্যুয়েলটি পামিংয়ের উপর ভিত্তি করে দাঁড়ালেও ম্যাজিকগুলো ছিল অন্তঃসারশূন্য। আর শেষের লম্বা সময় ব্যয় করা হয়েছে চরিত্রগুলোর অন্তহীন এবং প্রচণ্ড গোলমেলে বিশ্লেষণে, যা দর্শকদের জন্য অনেকটাই বিরক্তিকর ঠেকেছে।
২। বেসিক ইন্সটিংক্ট ২
শ্যারন স্টোন যখন ‘বেসিক ইন্সটিংক্ট টু’ করার জন্য রাজি হয়েছিলেন তখনও তার ‘ইন্সটিংক্ট’ তাকে কী বলেছিল তা জানা যায়নি। তবে জেরার মুখে বিশেষভাবে বসার শ্যারন স্টোনের আইকনিক দৃশ্যও মুভিটিকে বাঁচাতে পারেনি বক্স অফিস ভরাডুবি থেকে। রোটেন টমেটোতে সর্বনিম্ন রেটিং পাওয়া এই মুভিটি বাজেটেরও ৬ মিলিয়ন ডলার কম আয় করেছিল।
১। জ্যস ২
গ্রেইট হোয়াইট শার্ককে দুনিয়াব্যাপী বিখ্যাত করা স্টিভেন স্পিলবার্গের মাস্টারপিসের সিক্যুয়েলটি যেন দুর্বল স্পেশাল ইফেক্ট ও সম্পাদনের দোষে দেখালো ফিতাকৃমিকে! বিরক্তিকর সব চরিত্রকে জীবন্ত হাঙ্গরের পেটে চলে যেতে দেখাই যেন এই মুভির একমাত্র দিক যা ভালো লাগতে পারে দর্শকদের!
/এম ই
Leave a reply