২০২১ সালজুড়ে চট্টগ্রামে অন্যতম আলোচিত ঘটনা উন্মুক্ত নালায় পড়ে ৫ জনের প্রাণহানি। সেবা সংস্থাগুলোর অব্যবস্থাপনায় এখনও ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। এতো ঘটনা, আলোচনা-সমালোচনার পরও রয়ে গেছে নিরাপত্তা ঘাটতি। আশ্বাসবাণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার কার্যক্রম।
কতটা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের সেবা সংস্থাগুলো, আর কতটা অপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে উন্নয়ন, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রামের সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদের খালে পড়ে যাওয়ার আলোচিত ঘটনাটি। পরপর একইরকম আরও কয়েকটি ঘটনাই বলে দেয় কতোটা টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের।
নিরাপত্তাহীনতার চিত্র পাল্টায়নি বলে ঠিক একইভাবে নালায় পড়ে প্রাণ গেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়া এবং ১২ বছরের শিশু কামাল উদ্দিনের। তার আগে চশমা খালে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের বৃদ্ধাসহ ২ জনের।
খালে পড়ে একের পর এক এসব মৃত্যুর ঘটনা ছিল বছরজুড়ে আলোচিত। সিটি করপোরেশনের হিসাবে, এখন চট্টগ্রাম নগরে উন্মুক্ত নালা-নর্দমা ও খালের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান রয়েছে ৫ হাজার ৫২৭টি। যার দৈর্ঘ্য ১৯ হাজার ২৩৪ মিটার। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলছেন, নালা বা নদীতে বেঁড়া দেয়া সম্ভব নয়। যদিও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ রয়েছে তাদের।
খালে পড়া ছাড়াও সড়কের গর্তে মোটর সাইকেল থেকে পড়ে মৃত্যু, ফ্লাইওভারের ফাটলসহ নানা ঘটনায় বছরজুড়ে আলোচনায় ছিলো চট্টগ্রামের সেবা সংস্থাগুলো ব্যর্থতা।
/এডব্লিউ
Leave a reply