বিশ্বজুড়ে আজ উদযাপিত হচ্ছে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের ক্রিসমাস। মূলত ৪৫ খ্রিস্টপূর্বে সম্রাট জুলিয়াস সিজার প্রণীত পঞ্জিকা অনুসারে উদযাপিত হয় দিনটি। তবে মহামারিকালে কিছুটা জনশূন্য এবং আড়ম্বরহীন হয়ে পড়েছে উৎসব। সবচেয়ে বড় আয়োজন রাশিয়ায় থাকলেও আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবদেশেই মহা ধূমধামে বড়দিন উদযাপন করেন অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মধ্যরাতে যোগ দেন সেন্ট পিটার্সবার্গের ট্যান্সফিগারেশন ক্যাথেড্রালের প্রার্থনায়। তবে মহামারির ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে এবার তিনি ছিলেন একা।
বড়দিনের প্রার্থনায় মস্কোর ক্রাইস্ট দ্যা সেভিয়ার ক্যাথেড্রালে জড়ো হন কয়েকশ মানুষ। স্বপরিবারে যোগ দেন রুশ প্রধানমন্ত্রীও। দেশ এবং জাতির কল্যাণ কামনা করেন অর্থোডক্সদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান বেথলেহেমে ধর্মগুরু তৃতীয় থিও-ফিলোসের ঈশ্বর বন্দনায় অংশ নেন অর্থোডক্সরা। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি রক্ষায় সেই আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীও।
কঠোর নিরাপত্তা এবং করোনা শিষ্টাচার পালনের মধ্যে দিয়ে অর্থোডক্স ক্রিসমাস উদযাপিত হচ্ছে মিসরের গির্জাগুলোয়। কায়রোর ন্যাটিভিটি চার্চে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি।
এছাড়াও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে অর্থোডক্স ক্রিসমাস পালিত হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, জর্জিয়া, গ্রিস এবং তুরস্কে।
Leave a reply