সিরাজগঞ্জে গড়ে তোলা হচ্ছে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সদর ও বেলকুচি উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৪২ একর জায়গা। এখন পুরোদমে চলছে প্রকল্প এলাকা ভরাটের কাজ। কিন্তু নির্মাণাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বসবাসরতরা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও আবাসনের ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও বুঝে পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ বলছে, ১ হাজার ২০৬টি পরিবারের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৪৭ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় খাস জমিতে বসবাসকারীরাও এর অর্ন্তভুক্ত। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, জমির মালিকদের টাকা বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু খাস জমিতে বসবাসকারীরা ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন না।
এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণের টাকা বুঝে পেয়েছেন মালিকরা। তবে মাটি ভরাট শেষ হতে চললেও ঘরবাড়ি, গাছপালা ও আবাসনের ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ তাদের। খাস জমিতে বসবাসকারীদের এককালীন কিছু অনুদান দেয়া হলেও মেলেনি ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতিপূরণ।
সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন লিমিটেডের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেনের দাবি, এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। যা বরাদ্দ ব্যক্তিমালিকাধীন ও খাস জমিতে বসবাসকারীদের ঘরবাড়ি আর গাছপালার ক্ষতিপূরণ বাবদ।
স্বার্থান্বেষী মহল ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দের।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ বলছেন, জমির মালিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা ও আবাসনের ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে, খাস জমিতে বসবাসকারীদের টাকা দেয়ার অনুমোদন মেলেনি। তাই মন্ত্রণালয়ে ফেরত যাচ্ছে ওই টাকা।
ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছেন জমির মালিকরা। সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
/এডব্লিউ
Leave a reply