শিকারকে তরলে পরিণত করতে পারে যে বিষাক্ত প্রাণী

|

ছবি: সংগৃহীত

সারাবিশ্বে বিচিত্র ধরনের প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে আমরা কয়েকটি প্রাণীকে চিনলেও এমন অনেক প্রাণী রয়েছে যা আমরা কখনও দেখিনি এবং এদের সম্পর্কে কিছুই জানি না। সেই সকল বিভিন্ন ধরনের প্রাণী সম্পর্কে কিছু না জানার ফলে তাদের থেকে হতে পারা বিপদ সম্পর্কেও কিছুই জানতে পারি না আমরা। কিছু কীট-পতঙ্গ পরিবেশের জন্য উপকারী হলেও এমন অনেক ধরনের কীট-পতঙ্গ রয়েছে যারা খুবই বিষাক্ত ধরনের হয়।

এমনই এক ধরনের বিষাক্ত একটি কীট হলো হ্যামারহেড ওয়ার্ম। এই বিষাক্ত কীটের নাম থেকেই পরিষ্কার যে এই কীটের মাথার আকৃতি হাতুড়ির মতো হয়। এই বিষাক্ত ধরনের কীট দেখতে বড় না হলেও এটি খুবই মারাত্মক শ্রেণির একটি প্রাণী। এই বিষাক্ত কীট নিজের শিকারকে তরলে পরিণত করে দেয়, এরপর সেটাকে পান করে।

বিষাক্ত কীট হ্যামারহেড ওয়ার্মের শিকার করার পদ্ধতি বেশ আজব ধরনের। এই বিষাক্ত কীটকে দেখতে অনেকটা স্লাইমের মতো হলেও এটি খুবই ভয়ানক ধরনের একটি প্রাণী। এই বিষাক্ত কীট আজব পদ্ধতিতে নিজের শিকারকে হত্যা করে। সাধারণত এই ধরনের বিষাক্ত কীট তার শিকার আর্থওয়ার্মকে দেখেই তার চারপাশে এক ধরনের তরল পদার্থ ফেলতে থাকে। এটি এক ধরনের চটচটে তরল পদার্থ। এই ধরনের তরল পদার্থে আর্থওয়ার্ম আটকে যায় এবং হ্যামারহেড ওয়ার্ম তাকে নিজের শিকার বানায়।

আরও পড়ুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় বিবাহিত নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

হ্যামারহেড ওয়ার্ম টেট্রোডোটক্সিন নামের একটি কেমিক্যাল বের করে নিজের শরীর থেকে, যা তার শিকারের দেহকে তরলে পরিণত করে দেয়। শিকারের দেহ তরলে পরিণত হওয়ার পর হ্যামারহেড ওয়ার্ম ধীরে ধীরে সেটি পান করে ফেলে।

হ্যামারহেড ওয়ার্ম সাধারণত দেখা যায় ইউরোপ ও আমেরিকায়। এই ধরনের বিষাক্ত প্রাণী মানুষ এবং পশুর জন্য ক্ষতিকারক নয়, কিন্তু গাছের জন্য এটি ক্ষতিকারক। কারণ গাছের গ্রোথের সহায়ক কেঁচোকে এরা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: বাসায় চুরি করতে এসে খিচুড়ি রান্না করে খাচ্ছিল চোর, অতপর…
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply