মহামারি ও বৈরী আবহাওয়ায় সংকটে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বগ্রাসী করোনা সংক্রমণে জনবল স্বল্পতা দেখা দিয়েছে দেশটির শিল্প ও সেবা খাতে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।
সাউথ ক্যারোলাইন-ভার্জিনিয়ার মতো রাজ্যের বিভিন্ন সুপারশপে, এখন তীব্র পণ্য সংকট। তাকগুলো প্রায় সবই ফাঁকা। বাধ্য হয়েই, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে।
দেশটির কনজিউমার ব্রান্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জিওফ ফ্রিম্যান বলেন, সুপারশপে পণ্য সরবরাহ অনেক কম। সরেজমিনে দেখেছি, পশুখাদ্য থেকে শুরু করে ডিটারজেন্ট পর্যন্ত সমস্ত পণ্য কিনতেই রয়েছে লম্বা লাইন। অনেকে চাহিদামতো পণ্য পাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী রাষ্ট্রের কেনো এই বেহাল দশা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশজুড়ে শ্রমিকের অভাব। আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশটির শ্রমখাতে। ফলে, পণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে সরবরাহ পর্যন্ত দেখা দিয়েছে সমস্যা।
গেলো অক্টোবরে, যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ হাজার ট্রাক চালকের সংকট দেখা দেয়। এখনো কাটেনি সেই রেশ। সুপারশপ এবং বাজারে পৌঁছানো যাচ্ছে না পণ্যসামগ্রী। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মজুদ কমেছে অন্তত ১৫ শতাংশ।
জিওফ ফ্রিম্যান আরও বলেন, করোনার কঠিন সময়েও ভোক্তা চাহিদা কমেনি। বরং, সময়ের সাথে তা বেড়েছে। কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, দু’সপ্তাহেই বহু কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা, ২০২০ সালের তুলনায় অনেক বেশি। উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে দক্ষ জনবল। অনেক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন বন্ধ রাখতেও বাধ্য হচ্ছে। রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, গেলো সোমবার দেশটিতে রেকর্ড সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের শরীরে শনাক্ত হয় সংক্রমণ।
জেডআই/
Leave a reply