সঙ্গীতের পিছনে গোটা জীবন ব্যয় করে গান গেয়েছেন একাধিক ভাষায়। অথচ সুর সাগরে এতকাল অবগাহন করার পরও যথাযথ সম্মান পাওয়ার যোগ্য মনে করা হয়নি তাকে। তাই ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (৯০)। তার চেয়ে কম বয়সীরাও সম্মান পেয়ে গিয়েছেন। তাই এখন আর সম্মানের প্রয়োজন নেই বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে ফোনেই জানিয়ে দিয়েছেন বলে শিল্পীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপকদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর এ দিন শিল্পীর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে ফোন আসে দিল্লির তরফে। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে তাকে সম্মানিত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে শিল্পী সরাসরি জানিয়ে দেন যে, তিনি ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান করছেন। এই সম্মান নিতে অপারগ তিনি।
শিল্পীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বয়স ৯০ পেরিয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। ১২ বছর বয়স থেকে গান গাইছেন তিনি। সঙ্গীতের পিছনে জীবনের ৭৫টি বছর উৎসর্গ করে দিয়েছেন। অথচ এতদিনেও তার মতো সঙ্গীতজ্ঞকে সম্মানের যোগ্য বলে মনে হয়নি। বরং তার চেয়ে কম বয়সের শিল্পীদের সম্মান জানানো হয়েছে। তাতেই মর্যাদাপূর্ণ ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান করেছেন শিল্পী।
বাংলা সঙ্গীতজগতের উল্লেখযোগ্য নাম সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং তার জুটি বহু বছর বাঙালির মন জুড়ে ছিল। এক সময় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কণ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ‘বঙ্গ বিভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১৯৭০ সালে ‘নিশিপদ্ম’ এবং ‘জয় জয়ন্তী’ ছবিতে গানের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পেলো যেসব সিনেমা
Leave a reply