শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিলেন ইউক্রেনের সাধারণ নারীরা। ঘরের কাজ ছেড়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়া এসব নারী বলছেন, দেশ রক্ষায় এক চুল ছাড়ও দেবেন না তারা। যুদ্ধের দামামা বাজার সাথে সাথেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন তারা।
রাশিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের খারকিভ শহর। স্থানীয়দের শঙ্কা, দেশের দ্বিতীয় জনবহুল এই শহরটিতেই সবার আগে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।
ভয়াবহ হামলা থেকে নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান শহরের নারীরাও। তাই রাশিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, কামান, ট্যাঙ্কার, মিসাইলের বিপরীতে, কালাশনিকভ, একে ৪৭ এর মতো আগ্নেয়াস্ত্রের হাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা। ইউক্রেনের মুসলিম নারী সংস্থার প্রধান ভেটলানা পুতিলিনা বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিটি মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। পরিবারের সবচেয়ে ছোট থেকে বড় সদস্য সবাই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। সরকার চাইলেই আমরা অস্ত্র হাতে তুলে নেবো। শহর রক্ষায় হামলার প্রথম মিনিট থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত আমরা।
স্থানীয় এক নারী বলেন, নিজেদের সুরক্ষায় কীভাবে অস্ত্র চালাতে হয় তা আগে থেকেই কিছুটা শিখে রেখেছিলাম। এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আমরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাই না। তবে আঘাত আসলে এক চুলও ছাড় দেবো না।
প্রশিক্ষণ নেয়া নারীদের এই দলে রয়েছে তরুণী থেকে শুরু করে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধরাও। এরই মধ্যে ট্রেনিং শেষ করে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ শুরু করেছে বেশ কয়েকটি দল।
Leave a reply