একশো বছর বয়সেও পুরোদোমে কাজ করে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের এক নারী। হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। লন্ডনের শতবর্ষী এই নারী অদম্য প্রাণশক্তি দিয়ে হয়ে উঠেছেন চিকিৎসকদের অনুপ্রেরণার উৎস। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মানবসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান বেরিল কার।
তারুণ্য যে বয়সের ফ্রেমে বাঁধা থাকে না তার জ্বলজ্বলে উদাহরণ, লন্ডনের এই নারী। বেরিল কার নামের এই নারীর বয়স একশ বছর। কিন্তু বার্ধক্য এতুটুকু রুখতে পারেনি শতবর্ষী এই নারীকে।
শতবর্ষী হলেও পুরোদমে কাজ করছেন হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে। ক্যাফেটেরিয়া সামলাচ্ছেন এক হাতে। বলছেন, কাজের মাঝেই খুঁজে পান জীবনের স্বার্থকতা।
বেরিল কার বলেন, এটাই আমার জীবনধারা। ভীষণ উপভোগ করি এখানে কাজ করতে। বিশেষ করে মনে হয়, যারা সমস্যার ভেতরে আছেন, তাদের কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারছি।
গেল ১৮ বছর ধরে হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত আছেন বেরিল। তার অদম্য প্রাণশক্তির বলে চিকিৎসকদের কাছেও হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার উৎস। আর তার বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে মুগ্ধ রোগীদের স্বজনরা।
হাসপাতালের চিকিৎসক পূজা দাসান বলেন, কার যা করছে তা সত্যিই ভীষণ উৎসাহিত করে। সারাক্ষণ মুখে হাসি লেগেই থাকে, হাটাহাটি করে। হাসপাতালে অনেক খাটুনির পর তার দিকে তাকিয়ে প্রাণশক্তি ফিরে পাই।
অরুণ মাইসুরিয়া নামের আরেক চিকিৎসক বলেন, উনি আমাদের ভীষণ অনুপ্রেরণা যোগান। মহামারিকালে আমরা সবাই হাসপাতালে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কঠিন সময়েও বেরিলকে দেখলে মনে হয়, উনি পারলে আমরা কেন পারবো না?
সদাহাসোজ্জ্বল এই নারী গেল জানুয়ারিতেই পালন করেছেন তার শততম জন্মদিন। যদিও দীর্ঘায়ুর এই রহস্য বলতে নারাজ তিনি। তবে যতদিন বাঁচবেন হাসপাতালের কাজের মধ্যেই থাকার আশা তার।
/এনএএস
Leave a reply