অবাধে গাছ কেটে পাচার করায় উজাড় হচ্ছে বান্দরবানের টংকাবতী বনাঞ্চল। পাচার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে হাতি। শুধু তাই নয়, টংকাবতী ঝিরি ঝর্ণার প্রাকৃতিক পাথর উত্তোলন করেও পাচার করা হচ্ছে। এসবই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রহিমের কাণ্ড বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চিম্বুক পাহাড়ের পাদদেশের বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে হাতির কাঁধে। আর সেই হাতি পাহাড়ি উঁচু-নিচু ঢাল পেরিয়ে স্থানীয় দেবতা ঝিরি হয়ে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাচার করা এসব কাঠ।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতি ইউনিয়নের বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে নির্বিচারে গাছ কেটে পাচার করায়, উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। গাছ পাচার করতে রমজুপাড়া থেকে বলীপাড়া পর্যন্ত পাহাড় কেটে তৈরি করা হয় চার কিলোমিটার সড়ক। হাতির কাঁধে বয়ে আনা এসব কাঠ এ সড়ক দিয়ে চলে যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছে বন বিভাগও। শুধু কাঠ নয়, স্থানীয় দক্ষিণহাঙ্গর খাল, দেবতা ঝিরিসহ অন্তত ৮টি ঝিরি-ঝর্ণা থেকে অবাধে চলছে পাথর উত্তোলন। অভিযোগ গেছে জেলা প্রশাসনের কাছেও।
তবে গাছ পাচার এবং পাথর উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও ব্যবসায়ী আবদুর রহিম।
এসজেড/
Leave a reply