জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বানিয়ে দিলো জাতীয় পরিচয়পত্র!

|

ভুক্তভোগী আবদুল মতিন ভান্ডারি।

বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত! চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশনের এমন ভুতুড়ে কাণ্ডে বিপাকে পড়েছেন ৬৬ বছর বয়সী আবদুল মতিন ভান্ডারি। এই ভুক্তভোগী দিতে পারছেন না টিকা। এছাড়াও বঞ্চিত হচ্ছেন সব নাগরিক সুবিধা থেকে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে তিনি ভোগান্তিরও শিকার হয়েছেন।

পেশায় দিনমজুর আবদুল মতিন ভান্ডারি চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁন্দগাঁও এলাকার ভোটার। জ্বলজ্যান্ত একজন মানুষ হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বলছে তিনি মৃত। এর নেপথ্য রহস্য জানেন না তিনি নিজেও। বছর দেড়েক আগে মোবাইলে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে প্রথম জানতে তিনি পারেন এ ঘটনা। আবদুল মতিন ভান্ডারি জানান, তিনি এ ব্যাপারটি জানতে পেরে নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান। সেখানে সব দেখে বলা হয়, তিনি মৃত। জ্বলজ্যান্ত একজন মানুষ হয়ে তিনি কীভাবে মৃত বলে গণ্য হন, আবদুল মতিন ভান্ডারির সেটা কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না।

জাতীয় পরিচয়পত্রে এমন ভুল তথ্যের জন্য করোনার টিকা গ্রহণ থেকে শুরু করে সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। এছাড়া, এই ভুল সংশোধন করতে গিয়েও ভোগান্তির শিকার হন আবদুল মতিন ভান্ডারি। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের অফিসে গেলে তাকে বিভিন্ন স্বাক্ষর নিয়ে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, আমি ভাত খাবো, নাকি কাজ করবো নাকি এসব স্বাক্ষর জোগাড় করবো!

এমন ভুল আর ভোগান্তির জন্য প্রশাসনের অবহেলাকে দুষছেন ভান্ডারির প্রতিবেশীরা। তারাও জানেন যে, জাতীয় পরিচয়পত্রের এই ভুলের কারণে কতটা ভুগতে হয়েছে তাকে। বিষয়টি জানানোর পর জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল তথ্য দ্রুত সংশোধনের আশ্বাস দিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, উনি হয়তো জানেন না কোথায় গেলে ভুলটা সংশোধন হবে। হয়তো উনি যাচ্ছেন জনপ্রতিনিধি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে। তাদেরও হয়তো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই। মূলত, আমাদের অফিসে আসলে তাৎক্ষণিকভাবেই আমরা কাজটা করে দেই।

আরও পড়ুন: ছেলের চেয়ে বয়স কম হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা বাবার ভাতা বন্ধ!


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply