অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে

|

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ সামলে নেওয়ার আগেই দেশে শুরু হয়েছে ওমিক্রনের প্রভাব। রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি হলেও থেমে নেই সরকারের দৈনন্দিন ব্যয় ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন। পাশাপাশি চলছে, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ। অর্থের যোগান দিতে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার।

পদ্ম সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ এমন বেশ কিছু মেগা প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে দেশকে। অবকাঠামাগত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থ। আর এই অর্থের চাহিদা পূরণে সরকার রাজস্ব আহরণ ও বিদেশি ঋণের পাশাপাশি ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়। করোনার কারণে বাজেটের বড় একটা অংশ চিকিৎসা খাতে ব্যয় করেছে সরকার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি। গেল অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংক থেকে নিট ১০ হাজার ১৩২ কোটি টাকা ঋণ করে সরকার। সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ বলছেন, বাজেট ঘাটতি সাধারণত ৫ শতাংশ হলেও আবার সেটি বেড়েছে। তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রম ছাড়াও স্বাস্থ্যখাতে অনেক টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে এ বছর।

সরকার দেশীয় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে আবার পরিশোধ করছে। সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলছেন, সরকার ঋণ নিচ্ছে এর ফলে প্রাইভেট সেক্টরগুলোর গ্রোথ কমছে না। সরকারের ঋণ করার মতো যথেষ্ট তরল সঞ্চিত রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply