ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সুযোগ নিতেই বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে রাসায়নিক হামলার নাটক সাজিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং পশ্চিমা শক্তি। এমন দাবি তুলেছে মস্কো। রাসায়নিক হামলা হওয়া এলাকাগুলোতে তদন্তের পর OPCW-তে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র করা হয়।
রুশ প্রতিনিধি আলেক্সান্দার শুলজিন জানান, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আমাদের কর্মকর্তারা। কিন্তু রাসায়নিক হামলায় কোনো আহত ব্যক্তি কিংবা মরদেহ প্রমাণ হিসেবে দেখাতে পারেনি বিদ্রোহীরা। যেসব এলাকায় রাসায়নিক হামলা হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে, সেখানেও কোনো ধরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আসলে এগুলো সবই যুক্তরাজ্যের সাজানো নাটক।”
এদিকে, সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে পার্লামেন্টে বিরোধী শিবিরের প্রশ্নের মুখে পড়েন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। হামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। বলেন, সৌদি আরবও ইয়েমেনে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা আর হোয়াইট ফসফরাস ব্যবহার করছে। তবে কি সৌদি আরবের বিমান ঘাটিতেও মিসাইল হামলা চালানো হবে?
পালার্মেন্টে বিরোধীদলের প্রশ্নের মুখে থেরেসা মে জানান,”সংকট সমাধানে আমরা সব পর্যায় থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই সিরিয়াবাসীর মানবিক বিপর্যয় লাঘবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো বিকল্প ছিলো না। যা সম্পূর্ণ বৈধ।” অভিযানের পক্ষে সমর্থনও দেন ২৭৮ আইনপ্রণেতা।
Leave a reply