নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার সুযোগ দিতে আসতে পারে সাময়িক যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা

|

বেলারুশে দ্বিতীয় বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। ছবি: টুইটার।

বেলারুশে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বিতীয় বৈঠকে মানবিক বিষয়ে বেশ কিছু সমঝোতায় পৌছেছে দুই পক্ষ। সাধারণ নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার সুযোগ দেয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। যাত্রাপথে তাদের ওপর কোনো ধরনের হামলা করা হবে না। আসতে পারে সাময়িক যুদ্ধ বিরতির ঘোষণাও। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্তে পৌছাতে সক্ষম হয় বিবাদমান দুটি রাষ্ট্র। সংলাপে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল- দ্রুত যুদ্ধবিরতি, যুদ্ধ বন্ধে আনুষ্ঠানিক চুক্তি এবং ইউক্রেনের যেসব শহর ও গ্রামে হামলা চলছে বা সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। শর্তসাপেক্ষে বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে রাশিয়া।

এর আগে, গত সোমবার বেলারুশে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রথম দফার বৈঠকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা হয়। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ। আর রাশিয়ার দলে নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদেনস্কি। দুই দেশের মধ্যে প্রথম সংলাপে সংকট নিরসনে কোনো সমাধান আসেনি। তবে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসার বিষয়ে দুটি পক্ষ একমত হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দ্রুততম সময়ে দেশটির বেশ কয়েকটি শহর দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন পুরোপুরি দখল করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের আরেক বন্দর নগরী মারিওপোলের মেয়র জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী শহরটির বিদ্যুৎ, খাবার, পানি এবং হিটার নষ্ট করে দিয়েছে।

এছাড়া রাজধানী কিয়েভ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খারকিভ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মারিওপোল এবং উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরে হামলা বাড়িয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াকের এক টুইট বার্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বেলারুশে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক এবং দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তারা রাশিয়ান প্রতিনিধিদের সাথে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। এই বৈঠকে তিনটি বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাইখাইলো পোডোলিয়াক। বৈঠকের আলোচ্যসূচির মূল বিষয়গুলো হচ্ছে- অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচি এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত ও আক্রান্ত অঞ্চলগুলো হতে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য মানবিক করিডোর তৈরি করা।





সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply