ইউক্রেন অভিযানে থাকা অনেক রুশ সেনাই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। লড়াই এড়াতে কেউ কেউ করছেন আত্মসমর্পণ। অনেকে আটক হয়েছেন যুদ্ধের ময়দানে। বন্দি অবস্থায় তাদের বক্তব্যে উঠে আসছে অভিযান নিয়ে ক্ষোভ আর হতাশা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাদের নৈতিক দুর্বলতার কারণেই কাঙ্খিত সাফল্য পাচ্ছে না রুশ বাহিনী। খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
তরুণ এক রুশ সেনাকে আটক করার পর ইউক্রেনীয়দের খাতির যত্নের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাতে দেখা যায়, ভিডিও কলে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগ সামলে রাখতে পারেননি ওই রাশিয়ান সৈন্য।
কিয়েভের দাবি, এ পর্যন্ত কয়েক হাজার রুশ সেনাকে আটক করেছে তারা। বন্দি অবস্থায় তাদের বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যাতে প্রায় সবাইকেই মানসিকভাবে খুব নাজুক দেখা যায়।
কিয়েভের পক্ষ থেকে রাশিয়ান মায়েদের প্রতি অনুরোধে বলা হয়েছে, আপনার সন্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। এখানে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এমনকি তারা (রাশিয়া) মৃতদেহও তুলে নিচ্ছে না। শেষকৃত্যটুকুও হচ্ছে না কারো।
কেবল আটক নয়; কিয়েভের দাবি, যুদ্ধ না করে আত্মসমর্পণও করছে অনেক রুশ সেনা। লড়াই এড়াতে ইচ্ছা করে নিজেদের গাড়ি বিকল করার ঘটনাও ঘটছে। রুশ শিবিরের ফোনালাপে এমন তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। তাদের দাবি, অভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ইউক্রেনে অভিযান মানতে পারছেন না অনেক রুশ সেনা। যুদ্ধের উদ্দীপনা না পেয়ে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন তারা।
এক রাশিয়ান সৈন্য বলেন, না জেনেই আমি ইউক্রেনে যুদ্ধে এসেছি। এ পরিস্থিতির জন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুতও ছিলাম না। আমাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি জানতাম না, আমি কাউকে হত্যা করতে যাচ্ছি। আমাকে মানুষ মারতে পাঠানো হয়েছে, আমি ভীত।
এরইমধ্যে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে ১ লাখের বেশি রুশ সেনা। পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সমরাস্ত্র নিয়েও বিশাল এ বহর কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছে না লড়াইয়ের ময়দানে। পেন্টাগনের দাবি, সেনাদের নৈতিক অবস্থান দুর্বল হওয়ার কারণেই এ দশা।
যদিও দলে দলে আত্মসমর্পণ কিংবা সেনাদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার বিষয়টিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে দেখছে মস্কো। তাদের দাবি, বিশ্ববাসীকে ভুল বার্তা দিতেই ছড়ানো হচ্ছে এসব ভিডিও।
/এমএন
Leave a reply