রাশিয়ার মিত্র দেশ হলেও বেলারুশের অনেক মানুষ যোগ দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে। গত কয়েক দিনে গড়ে দৈনিক ২০ জনের মতো বেলারুশিয়ান যোগ দিয়েছে বিশেষ বাহিনীতে। যাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স ইউনিট। খবর ডেইলি মেইলের।
২৬ বছর বয়সী দেরবেইকো। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন নিজেকে।
ইউক্রেনেই এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে লেখাপড়া করেছেন তিনি। ২০২০ সালে চলে যান অন্যত্র। কিয়েভে রুশ হামলার পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ডাকে সাড়া দিয়ে যোগ দেন বেলারুশিয়ান ইউনিটে। মেশিনগানসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রচালনা শিখছেন ইউক্রেনীয় সেনাদের কাছে।
দেরবেইকো বলেন, এক বা দু’সপ্তাহের মধ্যে কিয়েভে বড় ধরনের হামলা হতে পারে। এটা ভেবেই প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি ইউক্রেনীয় ভাইয়েরা যুদ্ধে জয়ী হবে। খুব কষ্ট হয় এটা ভেবে যে, আমার নিজের দেশ বেলারুশকে রুশ আগ্রাসনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরেক বেলারুশিয়ান ইভান। ক্রাইমিয়া যুদ্ধের সময়ও যোদ্ধা হিসেবে এসেছিলেন ইউক্রেনে। রুশ হামলার খবর পেয়ে এবারও পারেননি বসে থাকতে। ফ্রান্সের একটি যোদ্ধা দলের অংশ হয়ে এসেছেন রুশ বিরোধী লড়াইয়ে যোগ দিতে।
ইভান বলেন, এমন একটি মুহূর্তে দূরে কীভাবে থাকবো? এ ধরনের একটি বেআইনি হামলার খবরে বসে থাকতে পারিনি। প্রতিরোধে চলে এসেছি। মানুষের এত দুর্ভোগ ও প্রাণহানি হচ্ছে, শিশুরাও মরছে। শান্তিপূর্ণ শহরে বোমা পড়ছে।
দেরবেইকো বা ইভানের মতো বেলারুশের অনেক নাগরিকই শামিল হয়েছে ইউক্রেনের লড়াইয়ে। যদিও কিয়েভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে রাশিয়ার অন্যতম মিত্র বেলারুশ। হামলার আগেও টানা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় মস্কো-মিনস্ক।
ইউএইচ/
Leave a reply