সেটা ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন যোগী আদিত্যনাথ, যিন সম্প্রতি বুলডোজার বাবা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এবার নির্বাচনে তার পক্ষে প্রচারণায়ও ব্যবহার করা হয়েছে বুলডোজার। ২০২২ এর নির্বাচনেও তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন তিনি। যোগীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মতোই গোছানো তার দৈনন্দিন জীবনযাপনও। যোগীর মতোই শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করেন তিনি। পরিমিত খাওয়াদাওয়া, নিয়ম করে প্রাণায়াম, যোগাসন ও ধ্যান করেন তিনি।
নিরামিশাষী যোগী মাছ, মাংস, ডিম খান না। সকালে ফলের পাশাপাশি সিদ্ধ ছোলা কিংবা দালিয়ার খিঁচুড়ি খান। বাইরের খাবার একে বারে খান না। দুপুরে কাজের ফাঁকে বাড়ির সবজি আর দুটি চাপাটি দিয়েই মধ্যাহ্নভোজন সেরে থাকেন আদিত্যনাথ। আনন্দবাজারের খবর বলছে, রাতে বেশির ভাগ দিন অনাহারে থাকেন যোগী। তবে কালেভদ্রে ডাল আর চাপাটি বা একটি আপেল খেয়ে থাকেন।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও পানি পান করতে ভোলেন না যোগী। এমনকি নির্বাচনের প্রচারণরা সময়কার কঠিন দিনগুলোতেও যোগীকে দেখা গেছে একটি ব্যাগ কাঁধে রাখতে। যাতে তিনি মূলত রাখতেন পানির বোতল ও দুটি কলা। রুটিন ডায়েটে এই খেয়েই তিনি ধরে রেখেছেন তার সুস্বাস্থ্য।
প্রসঙ্গত, মূলত ভারতের পাঁচ রাজ্যের ৪টিতেই জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। অবশ্য একটি আসনে বিরোধী কংগ্রেসকে হারিয়ে পাঞ্জাবে জয় পেয়েছে আম আদমি পার্টি। মূলত উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির মধ্যে আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। বিজেপির আসন গতবারের তুলনায় কিছুটা কমলেও যোগীকে খুব বেশি ভাবাতে পারেননি প্রতিদ্বন্দ্বী অখিলেশ যাদব। নির্বাচনের আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বেশ আলোচনায় থাকলেও নির্বাচনে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন তিনি। একই অবস্থা অন্যান্য দলগুলোরও।
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে যোগী হিন্দুত্বকে ব্যবহার করেছেন। ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করেছেন। প্রচারণার সময় বারবার অযোধ্যায় রামমন্দির, মথুরায় কৃষ্ণজন্মভূমি ও কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডোর নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। নির্বাচনেও ফল দিয়েছে যোগীর বিভাজনের রাজনীতি। পঞ্চাশটির মতো আসন হারাতে হলেও সমাজবাদী পার্টির চেয়ে প্রায় দেড়শ আসনে এগিয়ে আছে তারা।
/এডব্লিউ
Leave a reply