রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে টালমাটাল গোটা ইউরোপ। ইউরোপের বাজারগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম মূল্যস্ফীতি। প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে জ্বালানি তেল, গ্যাস এবং খাদ্যপণ্যের দাম। বিবিসি বলছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে তৈরি হয়েছে তীব্র সংকট। পাম্প স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ হচ্ছে গাড়ির লাইন। ইতালিতে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪৪ টাকারও বেশিতে।
গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ফিলিং স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ হচ্ছে গাড়ির সারি। শুধু সিএনজি স্টেশনেই নয়, প্রতিটি পাম্পের চিত্র একইরকম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে থেকেও মিলছে না ফুয়েল বা গ্যাস।
নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়ার কাছ থেকে তেল, গ্যাস না কেনার সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গোটা ইউরোপে। ইতালির কোনো কোনো পাম্পে জ্বালানি মিললেও রাখা হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দাম। প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে, ২ দশমিক ৬১ ইউরোতে। যা বাংলাদেশি মূদ্রায় ২৪৪ টাকারও বেশি।
অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও চড়া। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম। বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাশিয়ার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা ভোক্তাদের। তারা জানাচ্ছেন, আগে ১০ ইউরোতে যে খাদ্য পণ্য পাওয়া যেতো এখন তা কিনতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ ইউরোতে। গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে দাম। বিদ্যুৎবিল এবং গ্যাসের দাম অনেক বেড়ে গেছে।
গেলো এক মাসের মধ্যে ইউরোপে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি। গ্রিসে কয়েক দিনের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশে উঠেছে। যা দেশটিতে গেলো ২৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
/এডব্লিউ
Leave a reply