হাতির জন্য আয়োজন করা হয়েছে ভোজের। বিশাল টেবিল সাজানো হয়েছে নানা জাতের ফলমূল আর শাকসবজি দিয়ে। হাতি দিবস উপলক্ষ্যে থাইল্যান্ডে হয় ব্যতিক্রমী এ আয়োজন। হাতিকে দেশটির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভাবা হয়। তাই প্রতিবছরই আয়োজন করা হয় এ ভোজের। বিশ্বব্যাপী ১২ আগস্ট হাতি দিবস পালন করা হলেও থাইল্যান্ডে পালিত হয় ১৩ মার্চ।
দেশটিতে ‘হাতি দিবস’ উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই হয় এমন আয়োজন। বিশাল টেবিলজুড়ে সাজানো হয় হরেক রকমের ফলমূল আর শাক-সবজি। এত আপ্যায়নের কারণ, ঐতিহাসিকভাবে দেশটির মানুষের কাছে হাতির গুরুত্ব অনেক। তবে করোনার কারণে গত দুই বছর উৎসব ছিল সাদামাটা।
আয়োজক নং নুচ ট্রপিক্যাল গার্ডেনের প্রেসিডেন্ট কাম্পন তানসাচা বলেন, প্রতিবছরই এইদিনে আমরা উৎসবটির আয়োজন করি। এ দিবসে হাতিগুলোকে বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে দেয়া হয়। এবারে অন্তত দুই টন ফল দেয়া হয়েছে তাদের। এটি হাতিগুলোর জন্য বিশেষ এক উপলক্ষ্য।
থাইদের জীবন ও জীবিকার সাথে ঐতিহাসিকভাবেই রয়েছে হাতির সম্পর্ক। দেশটির ইতিহাস বলছে, অতীতে চলাচল ও পণ্য পরিবহণসহ বিভিন্ন কাজে হাতির ব্যবহার ছিল। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও দেখা যেতো হাতি। বর্তমানে এসব কাজে হাতির ব্যবহার না থাকলেও পর্যটকদের আকর্ষণ করতে হাতিকে শেখানো হয় নানা কসরত।
নং নুচ ট্রপিক্যাল গার্ডেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সময় বদলেছে। এখন আর হাতি দিয়ে ভারী কাজ করানো হয় না। আমাদের এখন অনেক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নানা কসরত শেখাই। তারা এখন আমাদের সাথেই বেড়ে ওঠে। এটাই এখন তাদের জীবন। এসব হাতি বন্য হাতির মতো এখন জঙ্গলেও বাঁচতে পারবে না।
হাতি দিবসে গোটা থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় হাতির জন্য আয়োজন করা হয় ভোজের। এছাড়া এই প্রাণির সুস্থতা কামনায় করা হয় প্রার্থনাও।
/এডব্লিউ
Leave a reply