গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সংঘাত শুরুর পর এ পর্যন্ত রাশিয়ার ১৩ হাজার ৮০০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে ও ৪৩০টি ট্যাঙ্ক হারিয়েছে দেশটি। বুধবার (১৬ মার্চ) এ তথ্য জানায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।
এক ফেসবুক পোস্টে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী ৪৩০টি রাশিয়ান ট্যাঙ্ক, ১৩৭৫টি সাঁজোয়া যান, ৮৪টি বিমান, ১০৮টি হেলিকপ্টার এবং ১১টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। যদিও এই তথ্য যাচাই করা বেশ জটিল ছিল বলে স্বীকার করা হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুধু গত ২ মার্চ জানিয়েছিল, ইউক্রেনে সংঘাতের জেরে ৪৯৮ জন রাশিয়ান সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে সংঘাত শুরুর তিন সপ্তাহ পর ইউক্রেন-রাশিয়া সমঝোতার আভাস মিলেছে। সংঘাত বন্ধে মস্কো-কিয়েভ দুই তরফ থেকেই ইতিবাচক বার্তা এসেছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, সুইডেন-নরওয়ের মতো আমরা ইউক্রেনকেও একটি নিরপেক্ষ দেশের ভূমিকায় দেখতে চাই। এক্ষেত্রে দেশটির নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বও নিশ্চিত করা হবে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ন্যাটোর সীমানা বিস্তার বন্ধ করতে হবে। পশ্চিমারা মূলত মস্কো-কিয়েভ সমঝোতা চায় না। বরং উত্তেজনা উস্কে দিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চায়।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাথে সমঝোতার জন্য আমাদের প্রত্যেক কর্মকর্তা-প্রতিনিধি দিনরাত কাজ করছেন। কারণ, চুক্তির মাধ্যমেই ইতি ঘটে যেকোনো যুদ্ধের। আশার কথা হলো রাশিয়ার সাথে সমঝোতার বিষয়টি আশার আলো দেখতে শুরু করেছে।
জেডআই/
Leave a reply