যে কারণে হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করছে রাশিয়া

|

রাশিয়ার মিগ-৩১ এয়ারক্রাফট ও কেএইচ-৪৭এম২ হাইপারসনিক মিসাইল

ইউক্রেনে হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত শনি ও রোববার ইউক্রেনে পরপর দুই দফা বিধ্বংসী হাইপারসনিক মিসাইল হামলা চালিয়ে কিয়েভের একটি অস্ত্রাগার ও জ্বালানি ডিপো গুড়িয়ে দেয় রুশ সেনারা।

জানা গেছে, পশ্চিমাদের ভীত সন্ত্রস্ত করতেই যুদ্ধের কৌশল হিসেবে হাইপারসনিকের মতো বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া। ইউক্রেনে পরপর দুই দফা উচ্চগতি ও ধ্বংসাত্মক এ অস্ত্রের ব্যবহারের পর এমনটাই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এ ধরনের মিসাইল হামলায় যুদ্ধক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না বলেও মন্তব্য তাদের। তবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

প্রতিবেশি দেশটির ওপর এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। নিরাপত্তা ও যুদ্ধ বিষয়ক গবেষকরা বলছেন, কৌশলগত কারণ এবং পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপ ঠেকানোর বার্তা হিসেবে হাইপারসনিকের হামলা চালিয়েছে পুতিন বাহিনী।

স্কটিশ সংঘাত বিষয়ক গবেষক ভ্যালেরি আকিমেনকো বলেন, অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে কেনো এখনই এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করলো রাশিয়া। আমার মনে হয় এটি তাদের যুদ্ধের তত্ত্ব আর পশ্চিমাদের ভীতিকর বার্তা দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে কৌশলগত কারণ ছাড়া মাঠের যুদ্ধে তেমন কোন পরিবর্তন আসবে না।

বিশ্লেষকদের শঙ্কা, যে কৌশলে এগোচ্ছে পুতিন বাহিনী তাতে ইউক্রেনে তাদের অভিযান আরও দীর্ঘ হতে পারে।

ভ্যালেরি আকিমেনকো আরও বলেন, রাশিয়ার কৌশল দেখে মনে হচ্ছে তারা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চায়। কারণ রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে চাইলে এতোদিনে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করতেন পুতিন। তবে পশ্চিমারা, যেন কোন ভাবেই হস্তক্ষেপ না করতে পারে সেটা নিশ্চিতে অনেক সময় প্ল্যান পরিবর্তন করছে মস্কো।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ছোঁড়া কিনঝাল নামের হাইপারসনিক মিসাইল সর্বোচ্চ দুই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুত ভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এ এছাড়া যুদ্ধ বিমান থেকে ফেলা মিসাইলটি ছুঁটতে পারে শব্দের গতীর চেয়ে অন্তত ১০ গুন দ্রুত। ২০১৬ সালে সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো এই ধরণের উচ্চগতি সম্পন্ন মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply