পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে জমিদাতাদের চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণে বাধা কোথায়?

|

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি দিয়েছিলেন যারা তারা সবাই পুনর্বাসিত হয়েছেন আধুনিক আবাসন প্রকল্পে। স্বপ্নের ঠিকানা নামের সেই প্রকল্পে যাওয়ার আগে কথা ছিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি দেয়া হবে প্রতিটি পরিবারের সদস্যকে। যদিও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি ৪ বছরেও।

১২শ স্কয়ার ফুটের ঘর হয়েছে ১শ ৩০টি। সাথে স্কুল, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, পুকুর আর গভীর নলকূপ। এসব ঘর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা খুশি থাকলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকা এবং জমির প্রাপ্ত মূল্য নিয়ে কিছু আক্ষেপ রয়ে গেছে তাদের। তবে অধিগ্রহণ করা জমির মূল্য নিয়ে অসন্তোষ আর প্রতিশ্রুত চাকুরি না পাওয়ার ঘটনাগুলো অস্বীকার করছেন স্থানীয় কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান। তার দাবি, এসবই সরকারবিরোধীদের অপপ্রচার। এমনকি তারা তিনগুণ টাকা পেয়েছেন বলেও দাবি তার।

তবে স্থানীয়দের চাকরী না হওয়ার পেছনে কিছু কারণ শনাক্ত করেছেন প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মওলা। তিনি বললেন, চাকরির জন্য দক্ষতা অর্জন করা দরকার। এজন্য তারা একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও করেছেন, সেখান থেকে দক্ষতা প্রশিক্ষণ পেলে তাদের অবশ্যই চাকরি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তিনি জানালেন, কর্মসংস্থানের জন্য গড়ে তোলা ওই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ৯ জন শিক্ষক পাঠ দিচ্ছেন অন্তত দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীকে।

এছাড়া পায়রা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্বাহি প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল জানালেন, কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রদানের পাশাপাশি এখান থেকে বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রফতানির লক্ষ্যে শেখানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশের ভাষা।

২০১৮ সালে পুনর্বাসন প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply