অভিযানের মূল লক্ষ্য কি অর্জিত হয়েছে? যা বলছে রাশিয়া

|

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল বা দোনবাসের স্বাধীনতাই রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য। শুক্রবার (২৫ মার্চ) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তথ্যটি স্পষ্ট করলো রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবিসির খবর দিয়েছে এমন তথ্য।

রাশিয়া জানায়, বিশেষ অভিযানের প্রথম পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন করেছে রুশ সেনাবহর। দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেছে শক্ত অবস্থান। খেরসন শহরে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া জা-পোর-জাইয়া শহরের প্রায় ৯০ ভাগ বর্তমানে রুশ সেনাদের দখলে। সেখানে রয়েছে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজধানী কিয়েভসহ কাছাকাছি বেশকিছু শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অবরুদ্ধ করাই ছিল তাদের প্রথম ধাপের লক্ষ্য। তাতে উদ্দেশ্য পূরণের পথটা সহজ হয়েছে।

মূলত রুশ ভাষাভাষীদের অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন করতেই পরিচালিত হচ্ছে অভিযান। ২০১৪ সালে গণভোটের আশ্রয় নিয়ে ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া।

রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুদস্কোই বলেন, সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ সফলভাবে শেষ করেছে রাশিয়া। এবার যুদ্ধের পরিধি ছোট করে আনা হবে। মূল লক্ষ্য অর্জন বা দোনবাস অঞ্চলের পূর্ণ স্বাধীনতার দিকেই থাকবে নজর। সেসময় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ঠেকাতে বহাল থাকবে আক্রমণাত্বক অবস্থান। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মাইকোলাইভ, সামি শহরগুলোর একাংশে রয়েছে রাশিয়ার অবরোধ। আর খেরসন তো আমাদেরই নিয়ন্ত্রণে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply