মৎস্য খামারিদের দুর্ভোগ কমাতে বাজারে এসেছে নতুন জাতের মাছের খাবার। মৎস্য চাষে অগ্রগতি এবং মাছের আমিষ ও পুষ্টিগুণ মেটাতে কম খরচে এই খাবার উৎপাদন শুরু হয়েছে। এসব খাবারে চাহিদা মতো পুষ্টিগুণ থাকায় প্রতারিত হবে না মৎস্য চাষিরা। এছাড়া অল্পদামে এসব খাবার বিক্রি হওয়ায় আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন তারা।
গোপালগঞ্জ জেলায় মৎস্য খামারি আছে প্রায় ১৭ হাজার। পুকুরের পাশাপাশি বিলে মাছ চাষ করেন তারা। তবে মাছের পুষ্টিগুণ মেটাতে বেশি দামে কিনতে হয় খাবার। এতে বেড়ে যায় ব্যয়। খামারিদের দুঃখ লাঘবে এখন বাজারে মিলছে বিশেষভাবে তৈরি মাছের খাবার। যাতে খৈল-ভূষির সাথে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এই খাবার পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৩০ টাকা কমে। এতে বেশ লাভবান হচ্ছেন খামারিরা।
নতুন ধরনের এই মাছের খাবার বাজারজাত করছে কাশিয়ানী মৎস্য চাষি সমিতি। সংশ্লিষ্টরা জানান, চাইনিজ মেশিনে বিশেষভাবে তৈরি হচ্ছে এই খাবার। যন্ত্রপাতি কেনায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। এই পদ্ধতিতে শুষম খাদ্য তৈরি করায় রোগবালাই মুক্ত থাকবে মাছ।
গোপালগঞ্জ জেলায় প্রতি বছর ৪১ হাজার টন মাছ উৎপাদন হয় যা দেশের আমিষের ঘাটতি পূরণে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে।
এসজেড/
Leave a reply