পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সোমবার (২৮ মার্চ) অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সপ্তাহব্যাপী বিতর্কের পর চূড়ান্ত ভোটাভুটি হবে আজ। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রীই মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি। ইমরান খান মেয়াদ পূরণ করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
গত ২৫ মার্চ প্রস্তাবটি তোলার কথা থাকলেও তারিখ পিছিয়ে দেন পার্লামেন্ট স্পিকার। প্রস্তাবটি খারিজে ৩৪২ এমপির মধ্যে ১৭২ জনের অনাস্থা প্রয়োজন। কিন্তু ইমরানের নিজ দল টিপিআইর সদস্য ১৫৫ জন। এরই মধ্যে দল ছেড়েছেন ১৭ সদস্য। তাই ইমরান খানের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা কার্যত অসম্ভব, এমনটা ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
গত রোববার ইসলামাবাদে এক বিশাল জনসমাবেশ করেন ইমরান খান। সেখানে তিনি অভিযোগ তোলেন, তার সরকার উৎখাতে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। যাতে বিদেশি রাষ্ট্র অর্থ ঢালছে। এবং তারা বিরোধীদলগুলোকে ব্যবহার করছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের সরকার উৎখাতের জন্য বাইরে থেকে আসছে অর্থের যোগান। দুঃখজনক হলো, সেই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়েছেন, আমাদের ভাইবোনরাই। কেউ নিজের আখের গোছাতে আর কেউ না বুঝেই দাঁড়িয়েছেন সরকারের বিরুদ্ধে। সরকারের হাতে এমন ঘটনার স্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন ইমরান খান। এসময় তিনি বলেন, কারো গোলামি নয় বরং আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই।
/এডব্লিউ
Leave a reply