ইউক্রেনে পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধ পরিচলানায় ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। তাই, যুদ্ধের ইতি টানতে দ্রুত কৌশল পরিবর্তন করছে মস্কো- এমনটাই মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। বলছেন, কাঙ্খিত সাফল্য দেখাতে পুতিন সরকারের এখন অন্যতম টার্গেট পূর্বাঞ্চলীয় শহর দোনবাস। নজর রয়েছে বন্দর নগরী মারিওপোল এবং ওডেসায়।
টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা সামরিক শক্তির দেশ রাশিয়া। তবে এখনও আসেনি কাঙ্খিত সাফল্য। বরং প্রতিটি শহরেই তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে রুশ বাহিনীকে।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রণক্ষেত্রে পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই যুদ্ধের ইতি টানতে চায় তারা। এ জন্য নতুন কৌশল হিসবে রাজধানী কিয়েভের আশপাশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।
যুক্তরাজ্যের চ্যাথাম হাউসের সামরিক বিশ্লেষক ম্যাথিউ বুলেগু বলেন, পুতিন নিজেও বুঝতে পারছেন যে কোনো কিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী আগাচ্ছে না। বলতে গেলে এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছেন তিনি। তবে তার মানে এই নয় যে যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে রাশিয়া। কাঙ্খিত অর্জনের আশায় মস্কো কৌশল কিছুটা পরিবর্তন করেছে এখন।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইউক্রেনকে দুই ভাগে বিভক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে পুতিনের। তাই মস্কোর এখন মূল টার্গেট পূর্বাঞ্চলীয় শহর দোনবাস। যদিও রাশিয়ার দাবি, শহরটির ৯৫ ভাগই এখন তাদের দখলে।
ম্যাথিউ বুলেগু আরও বলেন, মনে হচ্ছে আগামী কয়েক সপ্তাহে দেখতে পাবো রুশ সেনারা অন্যান্য শহর থেকে দোনবাসে জড়ো হয়েছে। মূলত ক্রাইমিয়া এবং দোনবাসের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ সেতু স্থাপনের জন্যই রাশিয়ার কাছে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও মারিওপোলের ওপর আলাদা নজর রয়েছে তাদের। এখানকার কোনো একটি অঞ্চল দখলকেই জয় হিসেবে দেখবে মস্কো।
যদিও এসব মন্তব্য থোড়াই কেয়ার করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের দাবি, সবকিছু চলছে ঠিকঠাক।
/এসএইচ
Leave a reply