পাকিস্তান আরও গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়তে পারে: বিশ্লেষকদের মত

|

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নাটকীয় পদক্ষেপে কোনো সমাধান তো নেই-ই, বরং পাকিস্তান আরও গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, একদিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে সৃষ্টি হবে রাজনৈতিক শূন্যতা। এতে আবারও পাকিস্তান সামরিক শাসনের কবলে পড়তে যাচ্ছে।

পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক আবদুল বাসিত বলেন, যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা আরও জটিল হবে। এই যে রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, এর পেছনের মূল কারিগররা অরাজনৈতিক পক্ষ। এদের লক্ষ্য এমন রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি করা। যাতে আবারও অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় বসে।

যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-এশিয়া বিষয়ক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. হামিদ খান বলেন, পিটিআই নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাগ্য যেহেতু জোটের ওপর নির্ভর করছে, ইমরান খানের উচিত ছিল শরিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিক রাখা। যখন শরিক দলগুলো অনাস্থার উদ্যোগ নিল, তখনই যদি ইমরান খান তাদের সাথে আলোচনায় বসতেন তাহলে এই জটিলতার সৃষ্টি হতো না।

বিশ্লেষকদের দাবি, সরকার আর বিরোধী জোটের মধ্যে টানা-হেঁচড়া চললেও সংকটের নেপথ্যে রয়েছে অরাজনৈতিক পক্ষ।

রোববার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সিদ্ধান্ত আসার পরই সুপ্রিম কোর্ট জানায় এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সব সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হবে আদালতের মাধ্যমে। এ নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীরা।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, পার্লামেন্টের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে কিংবা কোনটা বর্জন করা হবে সেটার দায়িত্ব স্পিকারের। সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কোনো এখতিয়ার নেই পার্লামেন্টের ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করার।

অন্যদিকে পিএমএল-এন এর জ্যেষ্ঠ নেতা মুসাদ্দিক মালিক বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্ত তো নির্দিষ্ট কোনো একটি দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সুপ্রিম কোর্ট তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাই এটা নিয়ে নেতিবাচক কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই। কারণ সাংবিধানিক আইন বাস্তবায়নের জন্যই আদালতের এই ঘোষণা।

এদিকে শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী করে বিরোধীদের সরকার গঠন; আদালতের নির্দেশনা এবং অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের অবস্থানের কারণে সাংবিধানিক সংকটের মুখে পাকিস্তান।

ইমরান খানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে তার সরকারকে উৎখাতে ষড়যন্ত্র চলছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply