গোপালগঞ্জে বাঙ্গির বাম্পার ফলন, ভাল দাম পেয়ে কৃষক খুশি

|

গোপালগঞ্জে বাঙ্গির বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিস্তীর্ন গ্রামাঞ্চলে বাঙ্গির (ফুটি) ভাল ফলন হয়েছে। কম পুঁজিতে ভাল ফলন ও লাভ হওয়ায় প্রতি বছরই এ এলাকার মানুষ বাঙ্গি চাষ করে থাকেন। এলাকার প্রধান অর্থকরী ফসলের মধ্যে বাঙ্গি
অন্যতম। রমজানে বাঙ্গির চাহিদা থাকায় ভাল দাম পাচ্ছে কৃষক।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি, বুরুয়া, নলুয়া, চকপুকুরিয়া, রুথিয়ারপাড় প্রভৃতি গ্রামে এ বছর প্রচুর
পরিমাণ বাঙ্গির চাষ হযেছে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই চৈত্রের ফল বাঙ্গির সমারোহ।

বাঙ্গি একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। তীব্র গরমে রমজান মাসে সারাদিন রোজা থাকার পর শরীরের ক্লান্তি মুছতে বেশীর ভাগ রোজাদারের ইফতারের সাথে বাঙ্গির চাহিদা থাকে। রমজানের শুরুতে উৎপাদিত ফসল বাজারে আনতে পেরে ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষক।

প্রতি পিস বাঙ্গি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছেন ব্যাপারিরা। এলাকার ব্যাবসায়ীরা জমির মালিকদের কাছ থেকে বাঙ্গি কিনে তা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে খাকেন। এ এলাকার বাঙ্গি ট্রাকে করে বিভিন্ন জেলার হাটবাজারে চলে যাচ্ছে।

বাঙ্গির ব্যাপক চাষ এবং ভাল ফলন হওয়ায় তা বিপননে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাজার। কলাবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান বিজন বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছর এ বাজারে লাখ লাখ টাকার বাঙ্গি বিক্রি হয়ে থাকে। রোজা শুরু হওয়ায় এসময় বাঙ্গির চাহিদা বেশী থাকায় এবং প্রচুর ফলন হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান স্থানীয় এই ইউ,পি চেয়ারম্যান।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, এ বছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বাঙ্গির ফলন ভাল হয়েছে। এ বছর গোপালগঞ্জে আড়াইশ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির চাষ হয়েছে। আর এ জমি থেকে এবছর ১০ হাজার মেট্রিক টন বাঙ্গি উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। তাছাড়া কৃষকেরা দামও পাচ্ছেন ভাল বলে জানালেন এই কৃষি কর্মকর্তা।



/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply