বরগুনায়ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব, হাসপাতালে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ রোগী

|

বরগুনা প্রতিনিধি:

গত বছরের মতো এ বছরও ডায়রিয়ায় প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করেছে বরগুনায়। বরগুনা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা মাত্র ১৩টি। ইতোমধ্যে বরগুনা সদর হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চারগুণ বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি হয়েছে অর্ধশত। যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। ধারণক্ষমতার বেশি হওয়ায় রোগীদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালটির মেঝেতে। এ মুহূর্তে খাবার স্যালাইন, আইভি সালাইন মজুদ থাকলেও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এসবের সংকট তৈরি পারে বলছেন চিকিৎসকরা। ১ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ২১০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এদিকে আইসিডিডিআর,বিতে বাড়ছে ডায়রিয়া ভর্তি রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন হাজারের বেশি রোগী ডায়রিয়া ও কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালটিতে।

রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। গরম শুরু হওয়ার পর থেকেই এমন প্রকোপ দেখা দিয়েছে জেলাটিতে। খাল ও পুকুরের পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। বরগুনার অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও দিন দিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বরগুনা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. তাসকিয়া সিদ্দিকা বলেন, কিছুদিন আগেও প্রতিদিন ৩২-৩৩ জন রোগী ভর্তি হতো, কিন্তু এখন সেটি বেড়ে ৫০ জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এখনও পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইন মজুদ থাকায় চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে তবে যদি রোগীর সংখ্যা বাড়লে সেবা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

গতবছর বরগুনায় ব্যাপকহারে ডায়রিয়ার বৃদ্ধি পেলে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতির কারণ অনুসন্ধানে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধি দল বরগুনার পুকুর ও খালের পানির নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা পরীক্ষা করে তাতে মলের জীবাণুসহ কলেরা ও ই-কোলাইযের জীবাণুর উপস্থিতি পায় তারা। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে পুকুর ও খালের পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply