পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা। দৈনন্দিন কাজ ও খাবার পানির উৎস বলতে খাল, পুকুর ও ধরে রাখা বৃষ্টির পানি। খালগুলোতেও আবার দিন দিন দূষণ বাড়ছে। পাড় ঘেঁষে গড়া ওঠা বসতির টয়লেটের সংযোগ সরাসরি খালে। এই দূষিত পানি পান করে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা। সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।
গোসল, রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে খালের পানিই প্রধান ভরসা এলাকাটিতে। আবার বাধ্য হয়ে এই পানিই পান করতে হয়। মাটির গঠনগত কারণে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় বসানো যায় না গভীর নলকূপ। আবার লবণাক্ততার ফলে সাধারণ টিউবয়েলের পানিও পান করার উপযোগী নয়। তাই দৈনন্দিন কাজসহ খাবার পানির জন্য ভরসা খাল, পুকুর ও ধরে রাখা বৃষ্টির পানি। কিন্তু খালগুলোতেও দিন দিন বাড়ছে দূষণের মাত্রা। বসতবাড়ির টয়লেটের বর্জ্য সরাসরি খালে পড়ছে। এতে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন খালের পানি ব্যবহারকারীরা। তবে বিধিনিষেধ অমান্য করে যারা সরাসরি খালে টয়লেটের সংযোগ দিয়েছেন, তারা বলছেন, জোয়ার-ভাটার কারণে খালের পানি দূষিত হয় না।
ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ননী গোপাল রায় বলছেন, দূষিত পানি পান করার কারণে সম্প্রতি বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। এছাড়া আরও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। আর খাল পাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন করার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম।
/এডব্লিউ
Leave a reply