সিরাজগঞ্জে অবাধ বালু উত্তোলন, যমুনার গর্ভে বিলীন কয়েকটি গ্রাম

|

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যমুনা নদী থেকে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। ফলে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বড়ধুল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও ফসলি জমি। উপজেলায় সরকারি কোনো বালুমহাল না থাকলেও কোনো আইনের তোয়াক্কা করছে না বালু ব্যবসায়ীরা। এমনকি প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা সদর থেকে যমুনা নদী ধরে কিছুটা এগুলেই বড়ধুল ইউনিয়ন। এখানকার বাসিন্দারের জীবিকার একমাত্র উপায় কৃষি। গত দুই বছর ধরে নৌকায় মেশিন লাগিয়ে ও ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। তীর থেকে অবাধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে সেই কৃষি জমিই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। পূর্বপুরুষের ভিটে হারিয়েছেন স্থানীয় অনেকেই। তারা বলছেন, প্রতিবাদ-অভিযোগ করেও মেলেনি প্রতিকার।

অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান। অচিরেই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে একজন ড্রেজার মালিককে পাওয়া গেলেও তিনি অস্বীকার করেন বালু তোলার কথা। আর বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলছেন, বেলকুচিতে নেই কোনো সরকারি বালুমহাল।

অবৈধভাবে বালু তোলার শাস্তি অনূর্ধ্ব দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয়ই।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply