তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে পুতিন বাহিনী ইউক্রেনের ২০ শতাংশ এলাকা দখলে নিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি নিজেই এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বর্তমানে রুশ বাহিনীর দখলে রয়েছে ইউক্রেনের ৬টি শহর। আরও ২টি শহরে চলছে অভিযান। এ অবস্থায় সতর্কতা জানিয়ে ন্যাটো বলছে, দীর্ঘ সময় লাগবে ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনীকে হঠাতে। খবর সিএনএনের।
আবারও সপ্তাহব্যাপী মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। এতে অংশ নিয়েছে ৪০টি যুদ্ধজাহাজ এবং ২০টি বিমান। এ পরিস্থিতিতে নতুন সতর্কতার কথা জানিয়েছে ন্যাটো। সামরিক জোটটির মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ জানান, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন চলতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে। তিনি বলেন, যেভাবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনী আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, খুব সহসাই সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা নেই মস্কোর। এমনকি আলোচনার টেবিলও ব্যর্থ হয়েছে। তাই পশ্চিমা দেশগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে চলবে এই যুদ্ধ।
সেভেরোদোনেৎস্কে ইউক্রেনের সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে রুশ যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হয়েছে মুহুর্মুহু হামলা। আর এই হামলার মুখে শহরটি থেকে পিছু হটেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। একদিন আগেই, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরটির মেয়র স্বীকার করেন কোণঠাসা পরিস্থিতির কথা। গেলো কয়েকদিন ধরে জোরালো রুশ হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা শহর। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ৯০ ভাগ ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। বাকিগুলোও বসবাসের অযোগ্য। এ অবস্থায় জানানো হয় মানবিক করিডর চালুর আবেদন। কারণ, শহরটিতে এখনও আটকে রয়েছে ১৩ হাজারের মতো বাসিন্দা।
একে একে হাতছাড়া হচ্ছে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো। এ অবস্থায় আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলেনস্কির কণ্ঠেও। যুদ্ধের শুরু থেকেই একচুল ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দেয়া জেলেনস্কি এখন মুখোমুখি হয়েছেন কঠিন বাস্তবতার। তিনি বলেন, একদিনে হয়নি এই করুণ দশা। সবশেষ, সেভেরোদোনেৎস্কও নিয়ন্ত্রণে নিলো রুশ বাহিনী। ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে গোটা এলাকা। সেখানকার ২০ শতাংশ অঞ্চল বর্তমানে রুশ সেনাবহরের দখলে। এখন যেকোনো মূল্যে পশ্চিমাঞ্চল কবজা করতে মরিয়া রাশিয়া। কিন্তু, ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে চলছে কঠিন লড়াই।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ‘অভিযান’ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
/এম ই
Leave a reply