তিন প্রজন্ম ধরে পুরনো ও দুষ্প্রাপ্য সব ঘড়ি সংগ্রহ করছে ভারতের একটি পরিবার। বর্তমানে তাদের সংগ্রহশালায় ঘড়ির সংখ্যা ছয় শতাধিক। দুশো বছরের পুরনো ঘড়িও রয়েছে এ সংগ্রহশালায়। পরিবারটির দাবি, তাদের সংগ্রহে যেসব ঘড়ি রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই দ্বিতীয় কোনো কপি নেই।
দুষ্প্রাপ্য আর পুরনো ঘড়ির এই বিশাল সংগ্রহশালা অনিল বালার। ভারতের মধ্য প্রদেশের শহর ইন্দোরের বাসিন্দা অনিলের ঘড়ির সংগ্রহ অবাক করার মতো। দেশি-বিদেশি, নানা নকশা আর আকারের পাশাপাশি রয়েছে দুশো বছরের পুরনো ঘড়িও। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘড়িও রয়েছে অনিলের সংগ্রহশালায়।
তিন প্রজন্ম ধরে এসব পুরনো ও দুষ্প্রাপ্য ঘড়ি সংগ্রহ করছে অনিল বালার পরিবার। শুরুটা করেছিলেন তার দাদা, এরপর বাবার হাত ঘুরে সেই সংগ্রহশালার দায়িত্ব এখন অনিল বালার কাছে।
অনিল জানাচ্ছেন, ঘড়ি সংগ্রহের এ কাজটি তার দাদা শুরু করেছিলেন। তিনি বিদেশ থেকে বেশকিছু ঘড়ি এনেছিলেন। পরে তার বাবাও ঘড়ি সংগ্রহের এ কাজ চালিয়ে যান। এসব ঘড়ির বেশিরভাগই নষ্ট ছিল, পরে সেগুলো মেরামত করা হয়েছে।
পরিবারটির সংগ্রহে থাকা ঘড়ির বিশাল সংগ্রহের অধিকাংশই হাতে তৈরি। অনিল বালার দাবি, পৃথিবীর কোথাও এসব ঘড়ির আর কোনো কপি পাওয়া যাবে না। বলেন, আমার সংগ্রহে আনুমানিক সাড়ে ছয়শো ঘড়ি রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই হাতে তৈরি। আমাদের কাছে যেসব ঘড়ি আছে সেসব আপনি আর কোথাও পাবেন না। কাছাকাছি নকশার পেলেও একটু হলেও পার্থক্য থাকবে।
২০১৩ সালে লিমকা বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেয় অনিল বালার সংগ্রহশালাটি। এছাড়া ভারতের সবচেয়ে বড় ঘড়ি সংগ্রহাশালাগুলোর একটি হিসেবে স্বীকৃতি পায় এটি। অনিল বালার আশা, তার পরবর্তী প্রজন্মও ঘড়ি সংগ্রহের এ ধারা বজায় রাখবে।
/এডব্লিউ
Leave a reply