এক-একটি সেতু একেকটি এলাকার ঐতিহ্য; দেশের অহংকার। সাথে দেশের লাইফলাইন-যোগাযোগের বন্ধন। গতকাল শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন পদ্মা সেতু। আজ থেকে যেখানে যান চলাচল শুরু হয়েছে। দ্বিতল এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। সেতুটি চার লেন বিশিষ্ট, যার প্রস্থ্য ৭২ ফুট। পিলার আছে ৪২টি। একই সাথে চলবে বাস ও ট্রেন।
দেশের আরেকটি বৃহৎ সেতু বঙ্গবঙ্গু সেতু। এটি দেশের আরেক সুপারস্ট্রাকচার, অহংকারের প্রতীক। যমুনা নদীতে নির্মিত এই সেতুটি ১৯৯৮ সালে উদ্বোধন করা হয়। এটি রাজধানীর সাথে উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
দেশের আরেক লাইফলাইন লালন শাহ সেতু। এটিও পদ্মা নদীতে নির্মিত। কুষ্টিয়া ও পাবনার মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে ১.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই সেতুটি।
দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পায়রাও দেশের বৃহৎ ব্রিজগুলোর একটি। পটুয়াখালীতে নজর কেড়েছে নান্দনিক স্থাপনা। দৈর্ঘ্যে ১ হাজার ৪৭০ মিটার, প্রস্থে ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার।
একইভাবে নির্মাণ হয়েছে কর্ণফুলী নদীতে শাহ আমানত সেতু। যার দৈর্ঘ্য ৯৫০ মিটার আর প্রস্থ ২৪ দশমিক ৪০ মিটার। এটি চালু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে নতুন দিগন্তের সুচনা হয়েছে।
এর বাইরে আরও বেশকিছু বৃহৎ সেতু গড়ে উঠেছে দেশের নানা প্রান্তে। ঈশ্বরদীতে বৃটিশ স্থাপত্যর অনন্য নিদর্শন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নজর কাড়ে। এবার অপেক্ষা যমুনা নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার আশা সংশ্লিষ্টদের।
জেডআই/
Leave a reply