শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

|

প্রস্তুত হচ্ছে শোলাকিয়া ঈদগাহ।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, কিশোরগঞ্জ:

আড়াইশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ১৯৫তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে এবার। এই জামাতকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে ২০১৬ সালের ০৭ জুলাইয়ে হওয়া জঙ্গি হামলায় নিহতদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে কিশোরগঞ্জবাসী।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের আগে ২০১৬ সালের ওই জঙ্গি হামলায় নিহত দুই পুলিশ কনস্টেবল ও এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে কিশোরগঞ্জবাসী।

দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন নিহতদের বেদীর সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবারের ১৯৫তম ঈদুল আজহার জামাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে নিরাপত্তা প্রস্তুতির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন তারা।

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নিয়ে থাকেন। ২০১৬ সালের ৭ জুলাই দেশের সর্ববৃহৎ এ ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের জামাতের প্রবেশ পথে পুলিশের পাহারা চৌকিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় জহিরুল ইসলাম ও আনসারুল হক নামে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল, ঝর্ণা রাণী ভৌমিক নামের এক গৃহবধূ এবং আবির হোসেন নামে এক জঙ্গি সদস্য নিহত হয়। আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবলসহ মোট ১৬ জন।

তবে দীর্ঘ ছয় বছরেও শেষ হয়নি শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার বিচার কাজ। এ জঙ্গি হামলার ঘটনায় রুজুকৃত মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ১৯ জন আসামি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। বর্তমানে এ বিচারাধীন মামলার পাঁচ আসামি কারাগারে রয়েছে।

অতীতের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলাকে মাথায় রেখেই কঠোর নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply