যেসব বায়োপিক আসছে হলিউডে

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে ভক্তদের জানার আগ্রহের কারণেই হলিউডে প্রতি বছর মুক্তি পায় নতুন নতুন বায়োপিক। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েি বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে এলভিস প্রিসলির বায়োপিক ‘এলভিস’। দর্শকদের অপেক্ষা এখন মেরিলিন মনরোর বায়োপিক ‘ব্লন্ড’র জন্য। এ বছর আরও কয়েকটি বায়োপিকের অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন সিনেমাভক্তরা।

ক্রিস্টোফার নোলানের সিনেমা মানেই চমক। জটিল গল্পের বুননের সাথে অভাবনীয় নির্মাণ। বিখ্যাত এ নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘ওপেনহেইমার’। যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন আইরিশ অভিনেতা কিলিয়ান মারফি, সাথে থাকবেন আরও দুই বিশ্বখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ও ম্যাট ডেমন। সিনেমাটি নির্মিত হবে পারমাণবিক বোমার জনক হিসেবে খ্যাত জে রবার্ট ওপেনহেইমারকে ঘিরে। আশা করা হচ্ছে ২০২৩ সালের ২১ জুলাই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

১৯৭৮ সালে গায়ানায় জিম জোন্স প্রতিষ্ঠিত জোন্সটাউনের গণআত্মহত্যার মর্মান্তিক সেই ইতিহাস কখনও ভুলবে না মানবজাতি। এ কথিত ধর্মযাজক জিম জোন্সকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হবে স্কট রোজেনবার্গের কাহিনীতে। যেখানে জিম জোন্সের ভূমিকায় অভিনয় করবেন অস্কারজয়ী অভিনেতা লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিও। সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন তিনি।

নোবেলজয়ী আমেরিকান গায়ক ও গীতিকার বব ডিলানের জীবনী নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘গোয়িং ইলেকট্রিক’ শিরোনামের একটি সিনেমা, যা নির্মাণ করছেন পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ড। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন মার্কিন অভিনেতা টিমোথি শালামে। বব ডিলানের বেড়ে উঠা, জনপ্রিয়তা ও ফোক মিউজিক আইকনে পরিণত হওয়ার গল্প তুলে ধরা হবে এ সিনেমায়।

‘রোমান হলিডে’র সেই রাজকুমারীর কথা মনে আছে? হলিউডের স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নকে পর্দায় আনছে অ্যাপল স্টুডিওস। নেয়া হয়েছে হেপবার্নের বায়োপিক নির্মাণের উদ্যোগ। পর্দায় অড্রে রূপে আসবেন রুনি ম্যারা। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ‘কল মি বাই ইয়োর নেম’ খ্যাত পরিচালক লুকা গডানিনো।

হলিউডের নাচের কিংবদন্তী ফ্রেড অ্যাস্টেয়ারের ভূমিকায় পর্দায় আসবেন টম হল্যান্ড। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে জিঞ্জার রজার্স ছিলেন অ্যাস্টেয়ারের যোগ্য নাচের জুটি। প্রথমবারের মতো প্রযোজক এমি প্যাসকাল অভিনয় করবেন এ বায়োপিকে জিঞ্জার রজার্স চরিত্রে। এর আগে, লন্ডনে ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’-এর প্রচারণাকালে টম হল্যান্ড এ সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বায়োপিক মানে সেই ব্যক্তিত্বকে এমনভাবে তুলে ধরা- যাতে সেই চরিত্র বাস্তবসম্মত হয়, আবার একই সঙ্গে দর্শকদের বিনোদন দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা তুলে ধরতে গিয়ে সবকিছু যেন এলমেলো হয়ে যায়। হলিউডে প্রতি বছর এতো জনরার সিনেমার মধ্যে বায়োপিকগুলো আড়ালেই থেকে যায়। গোল্ডেন গ্লোব থেকে অস্কারের মঞ্চ- সর্বত্রই বায়োপিকের জয়জয়কার হলেও বক্সঅফিসে কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়ে। আসন্ন বায়োপিকগুলো কি বদলে দেবে সেই দৃশ্যপট?    

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply