চট্টগ্রামে ট্যানারি সংকট: ঈদে পশুর চামড়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় আড়তদাররা

|

কেউ আড়ত মেরামতের কাজে ব্যস্ত, কেউ-বা করছেন লবণ মজুদ। এভাবেই চট্টগ্রামের আতুরার ডিপো এলাকায় সব আড়তে চলছে চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি। তবে, ট্যানারি সংকটে বিপাকে চট্টগ্রামের আড়তদাররা।

চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২১টি ট্যানারি, চালু আছে মাত্র একটি। ফলে কোরবানি ঈদে সংগৃহীত কাঁচা চামড়া নিয়ে সংকটে পড়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। সবাই তাকিয়ে ঢাকার ট্যানারির দিকে; কিন্তু তাদের কাছেও পাওনা কোটি কোটি টাকা। পুঁজি সংকটে টিকতে না পেরে ব্যবসা ছেড়েছেন অনেকে।

চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন আড়তদার জানিয়েছেন, লবণের দাম ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে তারা। তাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনবে না ট্যানারি মালিকরা।

চট্টগ্রামে চালু থাকা একমাত্র ট্যানারি রিফ লেদার। যেটি মাত্র এক লাখ চামড়া রাখতে সক্ষম। চট্টগ্রামে এবার চার লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আড়তদার সমিতির।

চট্টগ্রামের চামড়া আড়তদার সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে যদি আরও কয়েকটা ট্যানারি থাকতো তাহলে আমাদের যে দুর্ভোগ আছে, তা হতো না। ঢাকায় বিক্রি করলে টাকা পাই না, তা হতো না আর।

সমিতিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাঁচা চামড়া কেনার পর আমাদের দায়িত্ব শেষ। ট্যানারি মালিক যারা আছেন, তারা একটা অর্ডার নিলে প্রতি ফুটে কত টাকা লাভ করতে পারবে এ চিন্তা করে চামড়াটা কিনবে।

২০১৯ ও ২০২০ সালে সংরক্ষণের অভাবে এবং ভয়াবহ দরপতনের কারণে চট্টগ্রামে কোরবানি পশুর চামড়া রাস্তায় ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তখন এসব চামড়ার স্থান হয়েছিল সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড়ে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply