এখনও প্রস্তুত হয়নি সাভার চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপি, কাজ চলছে দাবি বিসিকের

|

প্রস্তুত হয়নি সাভার চামড়া শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার সিইটিপি। পানি শোধন না করতে পারায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ সম্মত চামড়া প্রক্রিয়াকরণ না করতে পারায় হতাশা বাড়ছে উদ্যোক্তা মহলে। তবে বিসিক বলছে, সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ থেকে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে সাভারে স্থানান্তর করা হয় ট্যানারি পল্লী। নতুন জায়গায় ১৬২টি ট্যানারির মধ্যে উৎপাদনে গেছে ১৩৯টি কারখানা। তবে হেমায়েতপুরে নির্মিত চামড়া শিল্প অঞ্চলে পুরোদমে কার্যকর হয়নি পানি শোধনাগার বা সিইটিপি। ফলে কারখানাগুলোর সরাসরি ও আংশিক পরিশোধিত বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে তৈরি হয়েছে স্তুপ। সেই পানি ফেলা হচ্ছে নদীতে। এতে দূষিত হচ্ছে ধলেশ্বরী নদী। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আশেপাশের মানুষের জীবন।

বলা হচ্ছে, আগের কয়েক বছরের তুলনায় সিইটিপির ব্যবস্থাপনা এখন ভালো। তবে পানি ধারণ ক্ষমতায় কিছু সমস্যা এখনও বিদ্যমান। এ নিয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, প্রতিদিন ২৫ হাজার কিউবিক লিটার তরল বর্জ্য পরিশোধিত করার যে সক্ষমতা তা পুরোপুরি আছে সিইটিপির। তবে এই মুহূর্তে আমাদের যেটি দরকার তা হলো সিইটিপির অসম্পন্ন কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা এবং কঠিন বর্জ্য পরিশোধনের বিষয়টি অতি দ্রুত সমাধান করা।

স্থানীয়রা বলছেন, চরম ভোগান্তির বিষয়ে এরইমধ্যে একাধিকবার বিসিকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বিসিক। বর্জ্যের কারণে একদিকে যেমন বাতাস দূষিত হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অন্যদিকে চলাচলের ক্ষেত্রেও পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।

তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিসিক। ইতোমধ্যে কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান রেজওয়ান জানান, কয়েকটি কোম্পানির সাথে এরই মধ্যে আলোচনা চলছে। এর একটি সমাধান দ্রুতই আসবে বলে আশ্বাস তার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply