আফ্রিকা থেকে পাচার হওয়া হাতির দাঁতসহ বিপুল সংখ্যক বন্যপ্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জব্দ করেছে মালয়েশিয়া। জাহাজে অন্য পণ্যের আড়ালে মেলে বিরল হাতি ও বাঘের দাঁত, গণ্ডারের শিংসহ আরও কিছু প্রাণীর হাড়, শিং, মাথার খুলি। যেগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। মালয়েশিয়া নাকি এশিয়ার অন্য কোনো দেশ ছিল গন্তব্য, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা। খবর এপির।
সোমবার (১৮ জুলাই) প্রায় ৬ হাজার কেজি হাতির দাঁত ধরা পড়েছে মালয়েশিয়ার কাস্টমস বিভাগের অভিযানে। শুধু কি হাতির দাঁত? মিলেছে গণ্ডারের শিং, বাঘের দাঁত, প্যাঙ্গোলিনের আঁশ, আরও কিছু বন্য প্রাণীর হাড়, শিং ও মাথার খুলি, যেগুলোর ওজন ৩০০ কেজি।
আফ্রিকা থেকে আসা একটি জাহাজে কাঠের স্তূপের আড়ালে ছিল এগুলো। অবৈধ পাচারের সময় ধরা পড়ে মালয়েশিয়ার সেলানগর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় ক্লাং বন্দরে। বন্যপ্রাণীর বিরল এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
মালয়েশিয়ার কাস্টমস মহাপরিচালক জাজুলি জোহান জানান, ল্যান্ড অপারেশন টিম আগে থেকেই গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলো। জাহাজে তিনটি কনটেইনার ছিল। চেকপোস্টে স্ক্রিনিং মেশিনে একটি কনটেইনারে নিষিদ্ধ বস্তু ধরা পড়ে। তখন খুলে দেখা হয়। আর কাঠের আড়ালে পাওয়া যায় এসব। বন্যপ্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সবচেয়ে বড় চালান আটক হলো।
গয়না তৈরিতে বিশেষ চাহিদা রয়েছে হাতির দাঁতের। আর এর সবচেয়ে বড় বাজার চীন। তাই জাহাজটি মালয়েশিয়া হয়ে চীন বা এশিয়ার অন্য কোনো দেশেই যাচ্ছিলো কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে। আফ্রিকা থেকে বিপন্ন বন্যপ্রাণী ও সম্পদ এশিয়ায় পাচারে অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় মালয়েশিয়া।
হাতির দাঁতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ নেই চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য। প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ হাজার হাতি হত্যা করা হয় কেবল দাঁতের জন্য। ১০০ বছর আগে আফ্রিকায় হাতির সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখে।
এটিএম/
Leave a reply