ঝুঁকি নিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরিয়ে দিলেও উদ্ধার হয়নি মোবাইল, হতাশ সেই শিক্ষার্থী

|

সেদিনের গল্প শোনাচ্ছেন ছিনতাইকারী পাকড়াও করা সাহসী তরুণী।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরিয়ে দেয়ার গল্প শোনালেন সেই সাহসী শিক্ষার্থী পারিশা আক্তার। তবে, ঘটনার দুই দিন পরও মোবাইল উদ্ধার না হওয়ায় হতাশ বলে জানান তিনি।

দুই ছিনতাইকারীকে কীভাবে পাকড়াও করেছিলেন, সেই বর্ণনা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী। বলেন, গোটা ছিনতাইকারী চক্রের নাম-পরিচয়সহ সব তথ্যই পুলিশকে দেয়া হয়েছে। অথচ এখনও মোবাইলটাই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মামলা ছাড়া পুলিশ কার্যত এই ঘটনায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পারিশা আক্তার বলেন, তিনি বাসে জানালার পাশে বসে ছিলেন। বাইরে থেকে ছোঁ মেরে তার হাত থেকে ফোন নিয়ে রাস্তা পেরিয়ে চলে যায় ছিনতাইকারী। বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে তাড়া করেও হারিয়ে ফেলেন পারিশা। কারওয়ান বাজারের চায়ের দোকানগুলো থেকে অনেকেই তাকে বলে, এই এলাকায় এমন ছিনতাই নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। ফোন আর পাওয়া যাবে না বলেও পারিশাকে চলে যেতে বলে তারা। এমন সময় পারিশা দেখতে পান, দৌড়ে আসছে আরেক ছিনতাইকারী! তার পেছনে ‘ধর ধর’ বলে চিৎকার করছে এক যুবক। তখন সেই ছিনতাইকারীকে পাকড়াও করেন পারিশা। সাংবাদিক জীবন আহমেদ এবং পারিশার এক বন্ধুও ছিলেন সাথে। পাকড়াও করা ছিনতাইকারীর ফোনে তখন বারবার কল আসছিল। সে সময় কল রিসিভ করে কৌশলে জানায় যায়, ফোনের অপর প্রান্তে আছে আরেক ছিনতাইকারী। তাকেও নিয়ে আসা হয় কারওয়ান বাজারের ইত্তেফাক গলিতে। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ। তাদের কাছে ছিনতাইকারী চক্রের নাম-পরিচয় দিয়েও ফোন এখনও ফিরে পাননি বলে জানান পারিশা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাহসী শিক্ষার্থী বলেন, সাধারণ ডায়েরির পর অভিযানের কথা থাকলেও দুদিন পেরিয়ে গেছে। আদৌ অভিযান হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছিনতাইকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। কিন্তু পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় ছিনতাই কমছে না। পারিশা বলেন, পথচারীসহ সবার সতর্ক ও সাহসী পদক্ষেপে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব।

আরও পড়ুন: দুই ছিনতাইকারীকে পাকড়াও করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া সাহসী শিক্ষার্থীর গল্প

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply