শ্রীলঙ্কায় ফের বাড়ছে উত্তেজনা

|

লঙ্কান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিক্ষোভ দমনে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রশাসন। শুক্রবারও এক যোগে ধরপাকড় চালায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্পেশাল টাস্কফোর্স। আটক করা হয় বেশ কয়েজনকে। নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন।

গ্রেফতার আতঙ্ক উপেক্ষা করে এখনও বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করছেন হাজারও লঙ্কান। তারা বলছেন, রনিল বিক্রমাসিংহে দেশকে আরও রসাতলে নিয়ে যাবে। দেশের উন্নয়নে এই মুহূর্তে সৎ রাজনীতিবীদের নেতৃত্ব প্রয়োজন। খবর রয়টার্সের।

এক আন্দোলনকারী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলাম। হঠাৎই আমাদের ওপর হামলা চালায় শক্তিশালী তিনটি বাহিনী। আমরা-তো কোনোকিছু দখল করতে আসিনি। নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু রনিল বিক্রমাসিংহে ক্ষমতায় থাকলে দেশকে আরও ধ্বংস করে ফেলবে।

আরেক আন্দোলনকারী বলেন, দেশের স্বার্থে রনিলের বিদায় নেয়া উচিৎ। আমরা সৎ একজন রাজনীতিবিদ চাই। যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রেখে দেশের জনগণের জন্য কাজ করবে।

প্রেসিডেন্টের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা গঠিত হলেও সাধারণ লঙ্কানদের ভাগ্যে এখনও কোনো পরিবর্তন আসেনি। আগের মতোই রয়েছে জ্বালানি ও খাদ্যসংকট। জ্বালানি তেলের জন্য পাম্প স্টেশনের লাইনে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে গতকাল শুক্রবার (২২ জুলাই) আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে তেল-গ্যাসের লাইনে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ১৫ জনের।

চলতি বছরের শুরু থেকেই চরম অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় বন্ধ হয়ে যায় তেল, গ্যাস, খাদ্য এমনকি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ আমদানি। অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে কয়েকগুন। এমন পরিস্থিতিতে বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে না পারায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে দেশটি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply