ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন ঋষি সুনাক

|

ঋষি সুনাকের চেয়ে অন্তত ২৪ শতাংশ সমর্থন বেশি পেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। ইকোনোমিস্টের গ্রাফিক।

পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এখন অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন ঋষি সুনাক। তার থেকে অন্তত ২৪ শতাংশ সমর্থন বেশি পেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। ইউগভের জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য। অথচ প্রাথমিক বাছাইয়ে শুরুর ৫ পর্বেই শীর্ষ ছিলেন সুনাক। নিজেকে আন্ডারডগ হিসেবে স্বীকারও করেছেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রী।

দ্য গার্ডিয়ানের খবর বলছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরী হওয়ার প্রতিযোগিতায় ছিলেন ১০ জন। সেই তালিকা ছোট হতে হতে এখন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তাদের জনপ্রিয়তা এবং সম্ভবনা নিয়ে এখন চলছে নানা হিসেব-নিকেষ।

কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হিসেবে এরই মধ্যে পাঁচ দফা ভোট হয়েছে। প্রাথমিক বাছাইয়ে ১৩৭ এমপির ভোট পেয়ে শীর্ষে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। তার পরেই অবস্থান লিজ ট্রাসের। আর ৩ নম্বর থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসেন লিজ ট্রাস।

তবে ইউগভের সবশেষ জরিপ বলছে, সুনাকের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি সমর্থন নিয়ে এগিয়ে গেছেন লিজ। কনজারভেটিভ পার্টির ৭৩০ এমপির মতামত নিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে জরিপকারী প্রতিষ্ঠান। তবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার রায় নিজের পক্ষে যাবে বলে দাবি সুনাকের। প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী এ রাজনীতিক বলেন, যেহেতু পার্টির সদস্যদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিলাম সুতরাং আরও সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করে যাবো। কোনো কিছুতেই হাল ছাড়ছি না। আগামী কিছুদিন গেলে আরও পরিষ্কার হবে অবস্থান। কারণ দেশের উন্নয়নের জন্য দুজনের প্রতিই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমি চেষ্টা করবো অর্থনীতি এবং নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তাকেই বেছে নেবেন পার্টির নেতারা। বলেন, নানা অযুহাতে মানুষের পকেট থেকে অর্থ বের করার কোনো চিন্তা আমার নেই। কারণ জীবনমানের ব্যায় বহুগুণ বেড়ে গেছে। তাই চেষ্টা থাকবে মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য উচ্চ হারের কর কমিয়ে আনার। ব্রিটেনের অর্থনীতি শক্তিশালী রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য তার।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর কনজারভেটির পার্টির ২ লাখ সদস্য পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন একজনকে। তিনিই হবেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। চলতি মাসের শুরুতে পার্টির সমর্থন হারানোর পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন বরিস জনসন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply