ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক নকলনবিশের কাছে জিম্মি পুরো সাব রেজিস্ট্রার অফিস। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও স্বপদে এখনও বহাল ওই নকলনবিশ। এদিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কলম বিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেখানকার দলিল লেখকরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবিশ সুজন মিয়া। তার বিরুদ্ধে আছে একাধিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বারবার ক্যামেরা বন্ধের নির্দেশ দেন যমুনা নিউজের প্রতিবেদককে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নকলনবিশ পদে চাকরি করে মাত্র কয়েক বছরে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন সুজন। তার কাছে জিম্মি পুরো রেজিস্ট্রার অফিস। সুজনকে ছাড়া কোনো কাজই করা যায় না অফিসে। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে তদন্তে। তারপরও স্বপদে বহাল তিনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই হতে হচ্ছে হয়রানীর শিকার।
এদিকে বারবার মৌখিক আর লিখিত অভিযোগ দিলেও সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ দলিল লেখকরা। এ প্রসঙ্গে আশুগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নাহিদ সিকদার বলেন, সাব রেজিস্ট্রার অফিস তো শুধু নামে। এই অফিসকে এখন ‘সুজন অফিস’ বললেই চেনে সবাই। ১৪ হাজার টাকার চাকরি করে এখন সে কোটি টাকার মালিক। এমনকি এখানে যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তাদেরও ভুল ধরে বেড়ায়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়ার পরও কেনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এটা আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদেরকে বিভিন্ন সময় সে হুমকিও দিয়েছে, আমরা দলিল লেখকরা তার কাছে একরকম জিম্মি হয়ে আছি বলতে পারেন।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নকলনবিশ সুজন মিয়া বলেন, মিথ্যা এবং কাল্পনিক অভিযোগ দিয়েছে। এবং এসব অভিযোগের সবগুলোই ষড়যন্ত্রমূলক।
জেলা রেজিস্ট্রার সরকার লুৎফুল কবির জানান, নকলনবিশের কাজ নকলনবিশ করবে আর দলিল লেখকের কাজ দলিল লেখকরা করবেন-তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মূলত এটাই। এর পাশাপাশি আরও টুকটাক কিছু অভিযোগ আছে। সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কলম বিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলিল লেখকরা।
/এসএইচ
Leave a reply